অনেকের অনেক পোষ্টেই দেখি ব্রান্ডিং নিয়ে লিখতে কিন্তু আমি ভাবলাম এই টপিকে আমার নিজের আরো লেখা উচিত,কেননা উদ্যোক্তাদের পরিচিতি ও সেল আনার জন্য এটা খুবই ভাইটাল।এর আগে আমি পার্সোনাল ব্রান্ডিং নিয়ে লিখলেও এবারে আমি ফেসবুক পেজ বা উদ্যোগের ব্রান্ডিং নিয়ে লিখছি।
ব্র্যান্ডিংয়ের গুরুত্ব-
ব্র্যান্ডিং আপনার পণ্য বা প্রতিষ্ঠানকে মানুষের মধ্যে আলাদাভাবে পরিচিত করে।
একজন মানুষের কিছু চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য থাকে। তার আচার-আচরণ, পছন্দ-অপছন্দ, জামাকাপড়ের ধরন, বন্ধুবান্ধব, কাজ ইত্যাদির মাধ্যমে তার একটি স্বকীয় পরিচয় আমাদের মাঝে উপস্থাপিত হয়। আপনার প্রতিষ্ঠানের বেলাতেও এটি তৈরি করে ব্রান্ডিং।
একটি পণ্য বা প্রতিষ্ঠানেরও এমন কিছু বৈশিষ্ট্য থাকে যেগুলো আপনি এই ব্রান্ডিং এর মাধ্যমেই আপনি চিনতে পারেন।
ব্র্যান্ডিং ব্যবসায়িক প্রতিযোগিতায় আপনার পণ্য বা প্রতিষ্ঠানকে আলাদা অবস্থান দেয়।
বাজারে একই ধরনের বিভিন্ন পণ্য পাওয়া যায়। কিন্তু যেসব পণ্যের ব্যাপারে মানুষের ইতিবাচক ধারণা বেশি, সেগুলোর বিক্রির হারও বেশি। যেমন, জুতার বাজারে ‘বাটা’ ও এপেক্স ব্র্যান্ডের আলাদা কদর রয়েছে।
আবার কাপড়ের ব্যাপারে “Easy” একই জায়গায় রয়েছে।
কাস্টমারদের সাথে আপনার পণ্য বা প্রতিষ্ঠানের একটি সম্পর্ক তৈরি হয় ব্র্যান্ডিংয়ের মাধ্যমে।
শুনতে অদ্ভুত শোনালেও এটা সত্যি! কোন পণ্য বা প্রতিষ্ঠানের ব্র্যান্ডিং ভালো হলে কাস্টমারদের আস্থা অর্জন করা সহজ হয়। এতে করে তারা বারবার আপনার পণ্যের কাছেই ফিরে আসবে।
প্রতিষ্ঠানে ভালো কর্মী আকৃষ্ট করতে আপনাকে সহায়তা করে ব্র্যান্ডিং।
ব্র্যান্ডিংয়ের মাধ্যমে আপনার পণ্য বা প্রতিষ্ঠানের একটি সামাজিক মূল্য তৈরি হয়। এর মাধ্যমে আপনার প্রতিষ্ঠানে কাজ করার জন্য মানুষের আগ্রহ বেড়ে যায়। যেমন, মাইক্রোসফট বা গুগলের কথা ধরা যাক। ব্র্যান্ড হিসাবে তাদের পরিচিতি এত ভালো যে পৃথিবীর সবচেয়ে দক্ষ ও মেধাবী কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ারদের স্বপ্ন থাকে এ কোম্পানিগুলোতে কাজ করার।
অথচ আমরা অনেকেই জানিনা Google এর মাদার কোম্পানি হলো Alphabet
ব্র্যান্ড আক্ষরিক অর্থেই আমাদের পছন্দকে বদলে দিতে পারে।বিজনেসে এটার গুরুত্ব আসলেই অপরিসীম।