লেখাপড়া করার এই প্ল্যাটফর্মে আমরা সকলেই মুলত আমাদের ক্যারিয়ারকে ডেভলপ করতেই এখানে সময় দিই।সেই আলোকে আমি আজ একটু লিখতে চাইছি সিভি নিয়ে।
CV মুলত কি?
সিভি বা কারিকুলাম ভিটা হলো একজন ব্যক্তির শিক্ষাগত, পেশাগত যোগ্যতা এবং অন্যান্য অভিজ্ঞতার একটি সারসংক্ষেপ বা ওভারভিউ। একটি সিভিতে যেসব তথ্য সমূহ থাকে: নাম, ঠিকানা, ফোন নম্বর, ইমেল আইডি, শিক্ষাগত যোগ্যতা, শখ, কৃতিত্ব, সফট স্কিল, ভাষা পরিচিত, কম্পিউটার দক্ষতা, ক্যারিয়ারের উদ্দেশ্য, বৈবাহিক অবস্থা ইত্যাদি। সিভি প্রায়ই আকারে বড় হয়ে থাকে(তবে এখানে কিছু লিমিটেশন আছে), যেখানে একজন ব্যক্তির শিক্ষাগত এবং পেশাগত যোগ্যতা সম্পর্কে তথ্য দেওয়া থাকে।
সাধারণত সিভিতে আপনার সদ্য তোলা পাসপোর্ট আকারের ছবি, পূর্বের বেতনের রেফারেন্স, রেফারেন্স এবং আগের চাকরি ছেড়ে দেওয়ার কারণ দেওয়ার দরকার নেই।
তবে এশিয়ার কিছু দেশগুলিতে আবেদনকারীর ছবি, জন্মতারিখ, রেফারেন্স এবং সাম্প্রতিক বেতনের তথ্য দেওয়া প্রয়োজন হয় (এটি অবশ্য কোম্পানিভেদে আলাদা হয়)।
সিভিতে সাধারণত নাম, ঠিকানা, কাজের অভিজ্ঞতা, কৃতিত্ব এবং পুরস্কার, কোর্সওয়ার্ক, রিসার্চ ও প্রজেক্ট এবং আপনার কাজের প্রকাশনার মতো তথ্য অন্তর্ভুক্ত থাকে। একটি সিভি সাধারণত দুই বা তিন পৃষ্ঠার হয়, তবে মধ্য-স্তরের বা সিনিয়র চাকরির আবেদনকারীদের জন্য সিভি ৩/৪ পৃ্ষ্ঠাও হতে পারে।যদিও এখন আমি ফ্রেশারদের সিভিকে দুই পেজের করতে উতসাহিত করবো।
সিভিতে যে তথ্যগুলি থাকা উচিত-
-
ব্যক্তিগত তথ্য (নাম, ঠিকানা, টেলিফোন নম্বর এবং ইমেল ঠিকানা)
-
যোগাযোগের তথ্য
-
ক্যারিয়ার অবজেকটিভ (গতানুগতিক অবশ্যই নয়)
-
শিক্ষাগত যোগ্যতা
-
পেশাগত অভিজ্ঞতা
-
প্রাসঙ্গিক দক্ষতা এবং যোগ্যতা
-
পুরস্কার ও সম্মাননা
-
প্রাসঙ্গিক প্রকাশনা
-
পেশাদার সংগঠন
-
ফেলোশিপ
-
লাইসেন্স এবং সার্টিফিকেট
-
স্বেচ্ছাসেবকের কাজ
-
শখ এবং আগ্রহ
-
রেফারেন্স (এমন কাউকে রেফারেন্স দিন যাকে ফোন করলে আপনাকে ভালোভাবে মুল্যায়ন করতে পারে)
নিয়োগকারী প্রতিষ্ঠান যদি রেফারেন্স না চায় তবে সে ক্ষেত্রে সিভিতে রেফারেন্স উল্লেখ না করাই ভালো। অন-ডিমান্ড, এই ধরনের তথ্য নিয়োগকর্তাকে আলাদাভাবে দেওয়া যেতে পারে।আর রেফারেন্সে খুব হাই প্রোফাইল কাউকে দিলেন কিন্তু কল দিলে আপনাকে চিনতেই পারলোনা এমন কাউকে না দেয়াই ভালো।
অনেক নিয়োগকর্তাই সিভি দেখেই পার্থীর চাকরি পাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়ে নেয়। তাই একটি আকর্ষনীয় সিভি তৈরি করুন, প্রয়োজনে প্রফেশনালদের কাছ থেকে সিভি বানিয়ে নেন।
সিভি প্রস্তুত করার আগে সেই চাকরি বা সুযোগের জন্য নিয়োগকর্তার প্রয়োজনীয়তা জেনে নিন। তারপর আপনার মূল দক্ষতাগুলি অবশ্যই উল্লেখ করতে হবে যা কাজের সাথে সবচেয়ে প্রাসঙ্গিক। আপনার কারিকুলাম ভিটা সঠিকভাবে তৈরি করুন যেন ব্যাকরণগত কোন ত্রুটি না থাকে। অবশ্যই সিভিতে সঠিক তথ্য যোগ করবেন।
ফাইবারে শ্রীলঙ্কান একটি মেয়ে সিভি তৈরি করাকেই তার ক্যারিয়ার করে অনেকদুর এগিয়েছে।আজ থেকে তিন বছর আগেই শুধু সিভি তৈরি করে তার মাসিক ইনকাম ছিলো-৩০০০-৫০০০ ডলারের মত।