বন্ধুদের কাছে ফিরতে না ফিরতেই প্রথম প্রশ্ন, ‘কেন আছিস বন্ধু এই রিলেশনশিপে?’ কাব্যও যথেষ্ট বিব্রত। এক বছরের সম্পর্ক, প্রথম দিকে ভালোই চলছিল। কিন্তু গত কয়েক মাসে অদ্রির সন্দেহপ্রবণতা বেড়ে গেছে বহুগুণ। গত ২ মাসে এই নিয়ে ১৪-১৫ বার ঝগড়া হলো, প্রতিবারই শুরুটা হয়েছে ওপাশ থেকে।
গল্পটা অনেকের কাছেই পরিচিত ঠেকতে পারে। এমন দৃশ্য এখনকার সময়ে নতুন কিছু নয়। আশপাশে অনেক সম্পর্কেই দেখা যায় এমনটা। বাইরে থেকে দেখে দুজনকে ভালোই লাগছে, দুজনের মধ্যে সম্পর্কটাও অটুট।
কিন্তু একটু কঠিন সময় এলেই দুজনের স্বরূপটা বেরিয়ে আসে। একজনের ক্ষুদ্র থেকে ক্ষুদ্রতম ভুল অন্যজন সহ্য করতে পারছেন না। ঈর্ষা, মানসিক সমর্থনের অভাব, পরিপক্বতার অভাব, বোঝাপড়ায় সমন্বয়হীনতা—এমন বহুভাবে একটা ভালো সম্পর্ক মোড় নিতে পারে টক্সিক রিলেশনশিপ।
একটা সম্পর্কে চিড় ধরলে সবার আগে প্রয়োজন যত্নের। সম্পর্ক একটা গাছের মতো, যত দিন যাবে, তত বড় হবে। এর মধ্যে গ্রীষ্ম, বর্ষা, শীত, বসন্ত সবই আসবে।
শীতের পাতাঝরা মৌসুম দেখে হাল ছেড়ে দিলে বসন্তের দেখা পাওয়া যাবে না কোনো কালেই। কারণ, শীতের পরেই আগমন ঘটে বসন্তের। কিন্তু তাই বলে একটি মরা গাছে ক্রমাগত পানি ঢালার অর্থ হয় না।
টক্সিক সম্পর্কে ধরে রাখা যতটা কষ্টের, তার থেকে বেশি কষ্ট সেই সম্পর্ক থেকে সরে আসা। টক্সিক সম্পর্কে বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই এক পক্ষের ভালোবাসা সর্বদাই বজায় থাকে। সম্পর্ক নামের গাছে সর্বদাই পানি দেওয়ায় মত্ত থাকে সে। এর মধ্যে তার নজর এড়িয়ে যায় যে গাছটা আসলে অনেক আগেই মরে গেছে।