গত দুই পর্বে আমরা মুলত ৮ টি পয়েন্ট পড়েছিলাম, আজ আমরা আরো কিছু পয়েন্টে আলোকপাত করছি।এই সিরিজটি নিয়ে চাকুরী প্রত্যাশীদের চাহিদা অনেক দেখেই আমি নিয়মিত লেখার চেষ্টা করে যাচ্ছি।
৯।কেন আপনি এই প্রতিষ্ঠানের জন্য কাজ করতে চান?
আপনাকে জিজ্ঞাস করতে পারে ইন্টারভিউ বোর্ডে যে, আপনি কেন এই প্রতিষ্ঠানে কাজ করতে চাইছেন।এই প্রশ্নে কিভাবে নিজেকে প্রেজেন্ট করবেন সেটা জনা দরকার।
এইখানে চিন্তার জন্য কিছুটা সময় লাগতে পারে, আপনার প্রতিষ্ঠানের গবেষণার উপর ভিত্তি করে উত্তর করা উচিত। এখানে আন্তরিকতা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং আপনার কর্মজীবনের অনুভূতি এবং দীর্ঘমেয়াদী লক্ষ্যবস্তু সহজে সম্পৃক্ত করতে হবে। এছাড়াও আপনি ঐ প্রতিষ্ঠানের কি কি উন্নতি করতে পারবেন তাও উল্লেখ করতে পারেন।
আর এইজন্যই আমি আগে বলেছি- যে প্রতিষ্ঠানে ভাইভা দিতে যাচ্ছেন সেখানের সম্পর্কে ভালো করে জেনে নিবেন।তাদের মিশন-ভিশন ও ওয়ার্কিং পলিসি নিয়ে লেখাপড়া করে নিন।
১০।যারা আমাদের সাথে কাজ করে আপনি কি তাদের সম্পর্কে কিছু জানেন?
এটি ইদানিং বেশ করা হয়ে থাকে,কেননা আমাদের দেশে রেফারেন্স জব গুলিতে অনেক সমস্যা ফেস করতে হয়।নিজেদের মধ্যে দলাদলি, আর দল ভারী করার একটা প্রচেষ্টা থাকে।এসব এড়াতেই মুলত এই প্রশ্নটি করা হয়।
এজন্য আগে আপনি, প্রতিষ্ঠানটির নিতিমালা সম্পরকে জানুন। তারা কি একই পরিবাবের অন্য কাউকে চাকুরি দেয় কিনা, বা আত্মীয়দের একই প্রতিস্থানে কাজ করা অনুমোদন করে কিনা, তার বিষয়ে তথ্য নিন। সব জেনে বুঝে উত্তর দিন।
১১। আপনি কি ধরনের বেতন চান? / স্যালারি ডিমান্ড বলেন।
একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন। একটি ছোট ভুল উত্তর আপনার সবকিছু নষ্ট করে দেবার জন্য যথেষ্ঠ। সুতরাং, এটা উত্তর না করাই ভাল। পরিবর্তে, বলা যায় যে এটি একটি কঠিন প্রশ্ন. আপনি কি আমাকে এই কাজের বা অবস্থানের জন্য বেতন পরিসীমা বলতে পারেন?
অধিকাংশ ক্ষেত্রে, চাকরীদাতা নিশ্চুপ ভুমিকা পালন করে। অথবা বলতে পারেন এটা কাজের বিবরণ উপর নির্ভর করতে পারে। অথবা বলতে পারেন, আমি আশা করব এটা আপনারা আমার যোগ্যতা এবং এই পদে কাজের পরিধি ও মার্কেটের চাহিদা বিবেচনা করে নির্ধারণ করবেন।