মোটিভেশন মুলত কেন কেন দরকার হয়,কি কাজ হয় মোটিভেশান স্পিচ দিয়ে

উদ্যোক্তারা যেসকল টপিকে সবচেয়ে বেশি লেখালিখি করে তার মধ্যে বোধহয় সবচেয়ে বেশি লিখে থাকেন এই বিষয়টি নিয়ে।অথচ আমরা অনেকেই মোটিভেশনের আসল ব্যাপারটাই বুঝিনা।সে যাই হোক বুঝি আর না বুঝি লিখতে পারলেই হলো।এত পড়ায় দরকার ও নেই,লিখতে পারলেই হবে।
ধরুন,আপনি জানেন আপনাকে দিয়ে হচ্ছেনা কিন্তু আপনার সামান্যতম উন্নতিতেও,আপনার শিক্ষক আপনাকে বললো—Great Job, Brilliant Job! you did really well my child.
বলার অপেক্ষা রাখেনা যে,আপনি উৎসাহিত হবেন।
আপনি নিয়মিত কাজ করেন কিন্তু কোন না কোন সমস্যা হয়েই যাচ্ছে কিন্তু আপনার করা ভালো কাজগুলিতেই,আপনার বস আপনাকে বললো—You are a great value to the team! you made a great change to our company.
নিঃসন্দেহে, আপনি কাজের জন্য আলাদা শক্তি পাবেন। কাজে মোটিভেশন পাবেন।এবং আপনি অনেক বেশি উদ্যোমী হয়ে কাজ করবেন।
আমাদের প্রিয় মানুষটি যখন আমাদের পোশাক, রান্না কিংবা যে কোন কাজ নিয়ে উৎসাহ দেয়, সাপোর্ট দেয়, কমপ্লিমেন্ট দেয় তাহলে আপনি উৎসাহ পান।
ধরুন,একদিন শখ করেই আপনার হাসবেন্ড রান্না করতে গেলো,তার রান্না যেমনই হোক না কেন,তাকে উৎসাহিত করুন।দেখবেন পরিবর্তন টা নিজের চোখেই।
আসল কথা হলো,আমাদের মুলত একা একা কোন একটা কাজ করতে ভালো লাগে না। কিন্তু যখনই কোন কাছের মানুষ এসে বলে, চল একসাথে করি! আমরা তখন উৎসাহ পাই। মানসিক তৃপ্তি আসে আর কাজেও গতি আসে।
অন্যের ভালো কাজটা দেখে আমরা উৎসাহিত হই,অনুপ্রেরণা পাই। সেই ভালো কাজটার সাথে যুক্ত হতে চাই। সেরকম কিছু করতে চাই।
মানুষের জীবনে মোটিভেশন সবসময়ই প্রয়োজন। সব বয়সেই প্রয়োজন। হয়তো ভিন্ন আঙ্গিকে, ভিন্ন অনুষঙ্গে।
ডেল কার্নেগির “How to win friends and influence people” বইটা বিক্রি হয়েছে প্রায় ত্রিশ মিলিয়ন কপি। আর ফটোকপি/পাইরেট কপি তো হিসাব ছাড়া। অল টাইম বেস্ট সেলিং বইয়ের একটা। আমেরিকাতেই বিক্রি হয়েছে কোটি কপি।
মানুষজন কি ঘাস খেয়ে বইটা কিনেছে? নেপলিয়ন হিলের বই নাকি বিক্রি হয়েছে প্রায় একশো মিলিয়ন কপি। —এই বইগুলো তাহলে কারা কিনেছে? নরমেন্ট ভিনসেন্টের বই বিক্রি হয়েছে বিশ মিলিয়ন কপি।
মানুষ তার জীবনে উৎসাহ জাগায় বই পড়ে। অন্যের কথা শুনে। কেউ উৎসাহ জাগায় অন্যের কাজ দেখে। অন্যের সাফল্য দেখে। অন্যের স্ট্রেটেজি দেখে।
সিনেমায় আমরা নায়কের পক্ষ নিই, নায়ককে হেরে যেতে দেখলে আমাদের খারাপ লাগে। কারণ সেই নায়কের কল্পরূপ আমাদের ভিতরে বাস করে।
ভাসিয়ে দেই! —কেন? কারণ নব্বই বছর একটা অসাধ্য সাধনের বয়স না। আমরা মুহূর্তের জন্য হলেও ভাবি—আমাকে দিয়েও সম্ভব।আমরা যখন দেখি, নব্বই বছর বয়সে কেউ কলেজ ডিগ্রি নিয়েছে—আমরা সবাই রিয়েক্ট করি।অভিনন্দন
মোটিভেশন শুধু কোটিপতি হওয়ার জন্য নয়। মোটিভেশন শুধু বড় কিছু হওয়ার জন্য নয়। মোটিভেশন প্রয়োজন হয় নিত্যদিনের কাজগুলো করার জন্য। মোটিভেশন প্রয়োজন হয় নিজের কাজগুলোকে গুছিয়ে করার জন্য।
রুটিনমাফিক কাজগুলোকে সময়মতো শেষ করার জন্যই মুলত দরকার পড়ে মোটিভেশান স্পিচের। প্রত্যেকটা মানুষ যে তার জীবনকে ড্রাইভ করে, সেটার ড্রাইভিং ফোর্সটাই হলো কোন না কোন মোটিভেশন। মোটিভেশন ছাড়া কাজ হলো, এলোমেলো। অগুছানো। উদ্দেশ্যহীন।
সবার লেখা বই হয়তো আমার ভালো লাগবে না। সবার দেয়া স্পিচ হয়তো আমার ভালো লাগবে না। কিন্তু কারো না কারো কথা, উৎসাহ, স্পিরিট আমি, আপনি ঠিকই নিই। জেনে হোক, আর অজান্তেই হোক।
মোঃ সৌভিকুর রহমান
শিক্ষক (কম্পিউটার বিভাগ)
যশোর পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট
আমার কাজ- লোগো ডিজাইন,ব্যানার ডিজাইন,বিজনেস কার্ড ডিজাইন,ফেসবুক পেজ ডেকোরেশন,ই-কমার্স ওয়েবসাইট ডিজাইন,পেজ প্রমোট ও বুষ্টিং,কন্টেন্ট রাইটিং,ভিডিও এডিটিং ও সফটওয়্যার ডেভলপমেন্ট নিয়ে
আমার পেজ- ICT CARE

Newsletter Updates

Enter your email address below and subscribe to our newsletter

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *