উত্থান ও পতন এই দুটি মিলেই আমাদের জীবন । আর জীবন থাকবে যেখানে ভুল তো হবে সেখানেই । কিন্তু ভুলের পরিমানটাও হতে হবে নগণ্য । সফলতার মুকুট তারাই সবার আগে মাথায় পরতে পারেন, যারা কিনা কমসংখ্যক ভুল করেন ।
জীবনে অনেক ভুল হবে কিন্তু সবথেকে বেশি সতর্ক থাকতে হবে যেন মারাত্মক ভুল না হয় । অনুরূপে, আপনি যদি সঠিক সময়ে সঠিক সার্কেল ঠিক না করেন, তাহলে সেটিও আপনার লাইফে সবথেকে মারাত্মক ভুলগুলির মধ্যে একটি হবে।
যে সার্কেল আজ আপনাকে বাহবা দিচ্ছে সামনে আর ঠিক আপনার পিছনে আপনাকে নিয়ে হাসিতে মত্ত,তাদেরকে ছেড়ে চলে আসুন অবলীলায়। আবার আপনার চরম অসুস্থতার খবর শুনেও যারা খোঁজ রাখেনা একটিবার, তাদের প্রয়োজনে নিজেকে কখনো সামিল না করার প্রতিজ্ঞা করুন।
এক সাক্ষাৎকারে লতা মংগেশকর বলেছিলেন।”পরের জন্ম তিনি আর চান না, আর যদি পরের জীবনে তাকে আসতেই হয় তবে তিনি লতা মংগেশকর হয়ে আসতে চান না।কারণ একজন লতা মংগেশকরই জানেন তার ব্যাথা বেদনা।”
লোকে তো শুধু তার গান শোনে আর হাসিটাই দেখতে পেলো।ভেতরের চাপা আগুনের তাপ কি কখনো পেয়েছে পায়নি, এমনকি আঁচও করতে পারেনি।
লোকে কি বললো তা নিয়ে ভাবিনা আমি,কারো ধার ধারতেও কেউ আমায় কোনদিন দেখেনাই।আল্লাহপাক ছাড়া কারো সাহায্য আমার দরকার নেই কোনদিন।এটা আমি মেনেই বড় হয়েছি।
এই আমি- এই জীবনে,একই মানুষের বহু রঙ দেখেছি,আর সেটাই আমাকে জীবন চিনিয়েছে।আর এজন্যই আমি এখন এভাবে চিন্তা করি- লোকে যখন কোন বাজে মন্তব্য করে ধরেই নেই তারা জ্বলছে হিংসার দাবানলে, তারা জ্বলে আমার ও আমার পরিবারের মানসিক দৃঢ়তায়, আমার সকল অর্জনে। যারা মুলত আমায় ধংস্ব করে দিতে চেয়েছিলো।
যে বা যাদের একটি মাত্র শব্দে আপনি আপনার পুরো একটা দিন মাটি করছেন, তাদের থেকে আপনাকে দূরে সরে আসতে হবে। বুঝতে হবে তারা মুলত আপনার মনোবল মাটিতে মিলাতে চায়,ধংস্ব করতে চাই আপনার অর্জন।
মনে রাখবেন, পরিবার হলো ৪ টা খুটির উপর দাড়ানো একটা ঘর, যার একটা খুটিতে ঘুন ধরলে বা দূর্বল হয়ে পরলে পুরো ঘরটাই একসময় মাটিতে মিশে যাবে।তাই ৪ টা খুটিই মজবুত ও দৃঢ় হতে হবে সমভাবে। ৩য় ব্যাক্তিকে এখানে সু্যোগ দেয়া যাবে না।
আল্লাহ পাক সবার পরিবারকে কুনজর থেকে রক্ষা করুন। সারা দুনিয়ায় মহামারি চলছে তা হয়তো দূর হবে কিন্তু মানুষের মনের করোনা দূর হবেনা কখনো। কারন আমরা শিক্ষিত হই টাকা কামাই করে বড়লোক হতে কিন্তু শিক্ষার বিন্দু মাত্র আলোক শিখা অন্তরের শুদ্ধতায় ব্যবহার করিনা।
যেদিন মন থেকেই দেখবেন যে অন্যের আনন্দে আনন্দিত হন এবং দুঃখে নিজেও ব্যাথিত হন সেদিন থেকেই বুঝবেন- আপনি সঠিক ও শুদ্ধ শিক্ষার চর্চা করছেন।
মোঃ সৌভিকুর রহমান
শিক্ষক (কম্পিউটার বিভাগ)
যশোর পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট
আমার কাজ- লোগো ডিজাইন,ব্যানার ডিজাইন,বিজনেস কার্ড ডিজাইন,ফেসবুক পেজ ডেকোরেশন,ই-কমার্স ওয়েবসাইট ডিজাইন,পেজ প্রমোট ও বুষ্টিং,কন্টেন্ট রাইটিং,ভিডিও এডিটিং ও সফটওয়্যার ডেভলপমেন্ট নিয়ে।