ফানেল? সে আবার কি? এটা কি খাই নাকি মাখে? কোনটা? সেলস ফানেল নাকি মার্কেটিং ফানেল নাকি কনভার্শন ফানেল?
সাম্প্রতিক সময়ে কিছু অনলাইন বিজনেস এর রিমার্কেবল সাফল্য এর পিছনে ফানেলের ভূমিকার কথা উঠে আসায় ফানেলের বাজার বেশ সরগরম হয়ে উঠেছে।আমার প্রায় ২৫ জন অনলাইন উদ্যোক্তা ক্লায়েন্ট মাসে ৫ লক্ষাধিক টাকার সেলস জেনারেট করতে সক্ষম হয়েছেন,তারা অনেক কিছুই বলেন কিন্তু এখনো কখনো জানতে চান নাই-ভাইয়া কিভাবে এটা হয়?
পক্ষান্তরে কিছু ডিজিটাল মার্কেটার এবং অনলাইন ব্যবসায়ীরা ফানেল ব্যবহার করে তাদের ব্যবসার রেভিনিউ বাড়িয়ে নিতে চাচ্ছেন এবং ক্লায়েন্টকে এই সেবা দিয়ে একটু বেশি পয়সা ইনকামের একটা রাস্তা বের করতে চাইছেন, কিন্তু ফানেল ব্যাপারটা আসলে কি?
কোনটা ফানেল কোনটা ফানেল না, কত প্রকার ফানেল আছে? কোনটা কখন ব্যাবহার করতে হয়? এইসব বিষয় নিয়ে আলোচনা, চর্চা একেবারেই নেই।আসলে এই চর্চাগুলি করতে গেলে আমাদের ইম্প্রেশন এমন হয় যে- এইডা আবার কি?
এইডা আমার কাজ না,এইডা মাথার উপর দিয়ে যায়।
আসলে ফানেল ব্যাপারটা হচ্ছে একটি যাত্রা, একজন কাস্টমারের যাত্রা। তিনি এই যাত্রায় একজন সম্ভাব্য বায়ার হিসাবে শুরু করে একজন পরিপূর্ন বায়ার এ পরিণত হওয়ার মধ্য দিয়ে শেষ করেন। অর্থাৎ তার এই যাত্রা এবং যাত্রা পথের যেসব ঘটনাগুলোর মধ্যদিয়ে তিনি একজন বায়ারে পরিণত হন এই পুরো বিষয়টাকে বলা হয় ফানেল।
একটু ব্যাখা করলে এমন দাঁড়ায় যে- আমরা একটা বিজনেস লঞ্চ করলাম এবং সেই জন্য সেল জেনারেট করার জন্য টার্গেট কাষ্টমার খুঁজে নিতে চেষ্টা চালাচ্ছি,একজন সম্ভাব্য থেকে শুরু করে একজন পোটেনশিয়াল কাষ্টমার সবাইকে দেখভাল করে বের করে আনার প্রক্রিয়াই হলো ফানেল।
আর মার্কেটিং ফানেল হচ্ছে একটা এপ্রোচ, যা কাস্টামারের এই যাত্রায় পুরো পথটা জুড়ে একজন গাইডের ভূমিকা পালন করে।; ব্রান্ডের সাথে প্রথম দেখা থেকে শুরু করে কাস্টমারের পণ্য / সেবা কেনা পর্যন্ত।
Building Awareness, Maintaining Interest, and Customer Evaluation ৩টা বিষয়কে কেন্দ্র করে একটা মার্কেটিং ফানেল গড়ে উঠে।
একটা মার্কেটিং ফানেলের মুলত ২টা অংশ থাকেঃ
লিড জেনারেশন অংশে ইনবাউন্ড মার্কেটিং, কন্টেন্ট মার্কেটিং, অনলাইন এড, ভাইরাল ক্যাম্পেইন, বা ডাইরেক্ট মেইল ক্যাম্পেইনের মাধ্যমে পোটেনশিয়াল কাস্টমারের ইনফরমেশন সংগ্রহ করা হয়।
লিড জেনারেশনের মাধ্যমে একজন প্রোস্পেক্ট ব্রান্ডের সংস্পর্শে আসে, ব্রান্ড সম্পর্কে জানতে শুরু করে, তার মাঝে ব্রান্ড সম্পর্কে আগ্রহ তৈরি হয়।
এরপরই অর্থাৎ লিড নারচার লেভেলে ব্রান্ডগুলোর সাথে সম্ভাব্য কাস্টমারের সম্পর্ক তৈরি করার চেষ্টা শুরু হয়ে যায়। প্রতিনিয়ত ইমেইল, নিউজলেটার, কিংবা ফ্রি বুক দিয়ে ট্রাস্ট বিল্ড আপ এবং এঙ্গেজমেন্ট তৈরি করার চেষ্টা করা হয়। আর কাস্টমাররা প্রোডাক্ট বা সার্ভিস সম্পর্কে জানতে শুরু করে।
যার ফলে কিছু মানুষের মনে প্রোডাক্ট বা সার্ভিস সম্পর্কে আগ্রহের জন্ম নেয়। তারা কেউ কেউ তাৎক্ষনিক কেনার সিদ্ধান্ত নিয়ে নেয় আর অধিকাংশই কেনার সিদ্ধান্ত নেয়ার আগে আরেকটু বেশি জানার-বুঝার, এবং বিচার-বিশ্লেষণ করার চেষ্টা করে।
একজন ব্যক্তির মাঝে যখন থেকে প্রোডাক্ট বা সার্ভিস সম্পর্কে আগ্রহের জন্ম নেয়, সেলস ফানেল তখন থেকে শুরু করে এডভোকেসি স্টেজ পর্যন্ত সেই ব্যক্তিকে লিড করে, গাইড করে।
মার্কেটিং ফানেলের মাধ্যমে ব্যক্তির সাথে ব্রান্ডের জানাশোনা, সম্পর্ক এর সূত্রপাত হলেও প্রোডাক্ট কেনা বা সার্ভিস নেয়ার জন্য যে ধরনের বিশ্বস্ততা বা সম্পর্কের দরকার হয় সেই সম্পর্ক গড়ে তুলা, সম্পর্কের পরিচর্চা করা, ব্যক্তির মাঝে বিশ্বস্ততা গড়ে তুলা; ” নাহ! এই তো আমি চাচ্ছি, বা একেই দিয়েই আমার কাজটা হবে” এইরকম বিষয়গুলো নিয়ে কাজ করে সেলস ফানেল।
সেলস ফানলের মধ্য দিয়ে ব্যক্তির সামনে ব্রান্ডটির একটা তুলনামূলক চিত্র ধরা হয় যার মধ্য দিয়ে ব্যক্তি বুঝতে পারে ব্রান্ডটি অন্যান্য ব্রান্ডের তুলনায় কেমন? কোথায় ভাল? কতটুকু ভাল?
এরপরই ব্যক্তির সামনে এমন কিছু কন্টেন্ট তুলে ধরা হয় যা ব্রান্ডের পক্ষ থেকে ব্যক্তির নিকট তার সমস্যার সমাধানের কমিটমেন্ট, যা দেখে সে ফাইনালি কেনার সিদ্ধান্ত নেয়। ফ্রি ট্রায়াল বা ডেমোস্ট্রেশন কেনার সিদ্ধান্তকে তরান্বিত করতে ব্যবহার করা হয়।
সেলস ফানেলের শেষ কিন্তু এখানে নয়, এর পরেই আসে রিটেনশনের পালা।
সৌভিক ভাই, আপনি মিয়া এসব লেখা বন্ধ করেন।আমরা জানি অনলাইনে বিজনেস মানে-
আপনি এসব বলে আমাদের মাথা ঘোরাচ্ছেন,এদিকে আপনার কাছে গেলেই বলেন-মার্কেটিং চার্জ এত টাকা।ফাউ টাকা আর কত নিবেন ভাই?