চাকুরী প্রার্থীদের একান্তই জানা প্রয়োজন-০১

 

বর্তমান বাংলাদেশে যেভাবে মৌলিক চাহিদার জন্য প্রয়োজনীয় সকল দ্রব্যের মুল্য বেড়ে চলেছে সেখানে সত্যিই কঠিন কাজ হলো নিজেকে টিকিয়ে রাখা।
আমরা অনেকেই এই টিকিয়ে রাখার জন্য মানসিক সাপোর্টই না পাইনা,সেখানে অর্থনৈতিক সাপোর্ট তো আরো অনেক দুরের বাতিঘর।
এজন্য এই সময়ে আমার মনে হলো- এই টপিকে কন্টেন্ট লেখা দরকার।
কম বেতনের চাকুরী গ্রহণ করুন
আমাদের মাঝে ৯০% কিংবা তারও বেশি চাকুরী প্রত্যাশীদের মাঝে এই ব্যাপারে অজ্ঞতা দেখা যায়,এজন্যই সবার আগে আমি এই টপিকে লিখছি-
যদি আপনার কাছে দুটি চাকুরীর অপশন থাকে, একটি হল রোমাঞ্চকর ও চ্যালেঞ্জিং আর অন্যটি হল গতানুগতিক ধারার, তখন বেতনের অনুপাতে চাকুরী দুটিকে বিশ্লেষণ করবেন না।
হয়তো চ্যালেঞ্জিং চাকুরীর বেতন কম কিন্তু সেখান থেকে আপনি মূল্যবান অনেক কিছুই শিখতে পারবেন যা আপনার জন্য মঙ্গলজনক হতে পারে। গ্রাজুয়েট হওয়ার পর প্রথম ৩ বছর হওয়া উচিত কাজ শেখার সময়, যারা এগিয়ে যেতে চান তারা এই চর্চা শুরু করতে পারেন আরো আগে থেকে বরং আগে থেকেই শুরু করলে গ্রাজুয়েট হবার পরে অল্প বেতনে চাকুরী করতে হবেনা।
কর্মজীবনের শুরুটাই যেন, উচ্চ আয় উপার্জনের সময় বলে বিবেচিত না হয়। প্রথম চাকুরী থেকে আপনি যা শিখবেন ও যে দক্ষতা অর্জন করবেন তা দিয়ে পরবর্তী বছরগুলোতে আপনার যোগ্যতা বহু গুণে বৃদ্ধি পাবে।

হতে পারে প্রথম চাকুরীতে আপনি কম বেতন পেয়েছেন, কিন্তু পরবর্তীতে ঐ কম বেতনের চাকুরীর অভিজ্ঞতা আপনাকে বেশি বেতন আয় করতে সাহায্য করবে এবং প্রথম কয়েক বছরের অভাব মিটিয়ে দেবে।
বেকার ট্যাগ বাদ দেবার জন্য হলেও আমাদের চ্যালেঞ্জিং চাকুরীতে যোগদান করে নিতে হবে,এটাই বাস্তবতা।

Newsletter Updates

Enter your email address below and subscribe to our newsletter

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *