আমরা সাধারণত ফেসবুক ব্যবহার করার সময় প্রতিনিয়ত বিভিন্ন ধরনের ভায়োলেন্স এর সম্মুখীন হয়ে থাকি। ভায়োলেন্স হতে পারে প্রোফাইল, পেইজ ও গ্রুপের এক্টিভিটির কারণে। কখনও অজান্তে ভুল হয়ে যায়, আবার কখনও অতিরিক্ত কিছু এক্টিভিটির কারণে ভায়োলেন্স হয়ে যায়।
তাহলে জেনে নেয়া যেতে পারে যে- কতটি ভায়োলেন্স হলে ফেসবুক আপনাকে কত সময় পর্যন্ত ওয়ার্নিং বা রেস্ট্রিকটশন দিতে পারে।
যখন আপনার কোন কন্টেন্ট ফেসবুক কমিউনিটি স্ট্যান্ডার্ড ও ইনস্টাগ্রাম কমিউনিটি গাইডলাইন এর বিরুদ্ধে যাবে তখন ফেসবুক আপনার সেই কনটেন্ট টি রিমুভ করে দিবে এবং আপনার একাউন্টকে নির্দিষ্ট ভায়োলেন্সে মার্ক করবে যেটাকে বলা হয় Strike system. এই স্ট্রাইকের উপর ভিত্তি করে আপনার প্রোফাইল, পেইজ, গ্রুপের কোয়ালিটি নির্ভর করবে।
আরো জেনে নিই-
স্ট্রাইক ১টি হলে- ফেসবুক আপনাকে প্রাথমিক ওয়ার্নিং দিবে ও আপাতত কোন রেস্ট্রিকটশন দিবে না।
স্ট্রাইক ২টি হলে- একদিনের জন্য কন্টেন্ট ক্রিয়েশন থেকে রেস্ট্রিকটশন দিবে। যেমনঃ পোস্ট, কমেন্ট, লাইভ, পেইজ ক্রিয়েট ইত্যাদি।
স্ট্রাইক ৩টি হলে- ৩ দিনের জন্য কন্টেন্ট ক্রিয়েশন থেকে রেস্ট্রিকটশন করা হবে।
স্ট্রাইক ৪টি হলে- ৭ দিনের জন্য কন্টেন্ট ক্রিয়েশন থেকে রেস্ট্রিকটশন করা হবে।
স্ট্রাইক ৫টি বা তারও বেশি হলে- ৩০ দিনের জন্য কন্টেন্ট ক্রিয়েশন থেকে রেস্ট্রিকটশন করা হবে।
অনেকেই বলেন, নির্দিষ্ট রেস্ট্রিকটশনের সময় শেষ হওয়ার পরও ভায়োলেন্স বা রেস্ট্রিকটশন থেকে যায়।
এটার কারণ হচ্ছে, আপনার ভায়োলেন্সকৃত কন্টেন্ট এর ভায়োলেন্স এর মাত্রার উপর নির্ভর করে। যদি ভায়োলেন্সটা বেশি গভীর হয় তাহলে এটা রিমুভ হতে বেশ সময় লাগবে।
তবে,ফেসবুক যখন ৩০ দিনের জন্য বা যেকোনো সময়ের জন্য রেস্ট্রিকটশন বা ভায়োলেন্স দেয় তখন ঐ সময়টা কে বলা হয় কুলিং পিরিয়ড। এই কুলিং পিরিয়ডের মধ্যে যদি আপনি আবারও পলিসি ভায়োলেন্স করেন তাহলে আপনার প্রোফাইল, পেইজ ও গ্রুপের জন্য রেস্ট্রিকটশনের মাত্রা তীব্র হতে পারে। এমনকি পার্মানেন্ট রেস্ট্রিকটেড বা একবছর সময়ও লাগতে পারে।
ফেসবুকে যদি প্রফেশনালি বিজনেস করতে চান তাহলে অবশ্যই একজন ফেসবুক এক্সপার্ট এর কানেক্টেড থাকার চেষ্টা করুন। প্রতিনিয়ত সাপোর্ট ইনবক্স ( support inbox) ও একাউন্ট কোয়ালিটি চেক করুন।