টপিক- নতুন পেজ খুলে কি কি করবো?
আমাদের উদ্যোক্তাদের মধ্যে শতকরা ৯৫ জনের বিজনেস সম্পুর্নরূপে ফেসবুক পেজ নির্ভর। এর মধ্যে ৮৪% উদ্যোক্তার পেজ আবার সম্পূর্ণভাবে বিজনেস বেইজ না।এটা যে বিজনেস পেজ হিসাবে সেটাপ করা হয়নাই সেটা আবার জানেনা তাদের অধিকাংশ মানুষ।এর কারন হলো- অজ্ঞতা।
অনেকেই আছেন যাদের তারা ফেসবুক পেজ সাজানো বলতে কি কি সাজানো বা সেটআপ করাতে বুঝায় তা বুঝে উঠতে পাচ্ছেন না। আমার অভিজ্ঞতা থেকে সেগুলো লিস্ট আকারে শেয়ার করলাম।
ফেসবুক পেজ সাজাতে অনেক কাজ করা লাগে। যেমনঃ
স্টেপঃ ১
১। পেজের জন্য লোগো- এটা নিয়ে আমার বিস্তারিত পোষ্ট আছে যে লগো কেন লাগবে?
ব্যাবসার জন্য যদি কোন মুলধন আজীবন থাকে তবে সেটা হলো লগো।
২। পেজের কভার ব্যানার / ভিডিও (আজ আমি সঠিক মাপ দিয়ে দিলাম)
৩। সার্ভিস / শপ সেকশনে ইনফো দিতে হবে।
৪। এ্যাবাউট পেজে কনটেন্ট/ইনফো দিতে হবে + কভার ফটো অ্যাড করতে হবে।
৬। হোয়াটসঅ্যাপ ইন্টিগ্রেশন।
৭। অটো ম্যাসেজ রেস্পন্ডার সেটআপ করুন।
৮। পেজের সাথে সামজস্যা রেখে শুরুর দিকে প্রতিদিন ৩-৫টা করে পোস্ট দিতে হবে অবশ্যই টাইমিং ঠিক রেখে।
৯। আপনার ফ্রেন্ডলিস্টের সবাইকে পেজে ইনভাইট করুন তবে ধিরে ধিরে।
১০। পেজ থেকে ব্র্যান্ড নামে গ্রুপ তৈরি করে পেজের সবাইকে ইনভাইট করুণ এবং পোস্ট পেজের প্রোফাইল থেকে পোস্ট দিতে হবে।
স্টেপঃ ২
১। ফেসবুক পেজ বুস্ট- যখন আপনার পেজের সেটিং ঠিক করে সাজানো হয়ে যাবে।
এক মাস কাজ করুন সঠিক নিয়মে, কিছু কন্টেন্ট রেডি হলে বূষ্ট করুন।অনেকে আগেই বুষ্ট করে এজন্য আর পরে পেজে লাইক আসে না বা এংগেজমেন্ট কমে যায়।
২। প্রয়োজনে পোস্ট বুস্টিং করুন ভালো পোষ্ট কন্টেন্ট ক্রিয়েট করে।
৩। ফেসবুকে লাইভ- মাসে অন্তত একদিন পেজ থেকে লাইভে এসে কথা বলুন।কাষ্টমারের বিশ্বাস যোগ্যতা অর্জন করুন।
৪। প্রোডাক্টের রিভিউ- প্রোডাক্ট রিভিউ লেখা কিংবা রিভিউ গুলি সুন্দর করে ছবি সহ পোষ্ট করা যে কতটা কার্যকারী সেটা বুঝতে পারছেন না। এই রিভিউ লিখুন দেখুন কি আমুল পরিবর্তন আসে।
৫। অফার দিন + প্রোডাক্ট নিয়ে মতামত দেয়ানেয়া করুন। চাইলে এফিলিয়েট মার্কেটিং করতে পারেন।
ব্যাবসায়ের মুল মুলধন হলো নাম,লগো ও ডোমেইন এবং পরবর্তীতে ওয়েবসাইট ও হোষ্টিং।এই জিনিস গুলি আপনার আজীবন থাকবে।তাই সস্তা কাউকে না খুঁজে প্রফেশনাল কাউকে খোঁজেন।