আপনার চাওয়া ও প্রয়োজনের ব্যাপারে স্পষ্ট ধারণা রাখুন, এবং বাকি সবকিছুকে ‘না’ বলুন
চটকদার বিজ্ঞাপন বা লিমিটেড টাইম অফার দেখে আমরা অনেক সময়েই অপ্রয়োজনীয় জিনিস কেনার জন্য ঝাঁপিয়ে পড়ি। কিন্তু অনেক সময়েই ভেবে দেখি না, এটা আসলেই আমাদের দরকার কি না। অন্যরা কিনছে, অথবা বিশেষ অফার চলছে – এই কারণে শুধু শুধু টাকা নষ্ট করি।
সোশ্যাল মিডিয়াতে বন্ধু, পরিবারের সদস্য বা সহকর্মীর সাথে দরকারী কথা শেষ করে সময় নষ্ট করতে লেগে যাই। যেসব জিনিস দেখলে বা পড়লে – আমাদের বিন্দুমাত্র লাভ হবে না – সেগুলোই গিলতে থাকি।
– এমন আরও ক্ষতির কথা তো আগেই বলেছি। এর থেকে বাঁচতে হলে প্রথমেই আমরা আসলেই কি চাই, এবং কোন জিনিসটা আমাদের আসলেই দরকার – সেই বিষয়ে স্পষ্ট ধারণা থাকতে হবে।
আমরা জীবন থেকে কি চাই, আজকের দিনে কি চাই, কি কি কাজ করতে হবে, কোন কোন জিনিসটা আসলেই কেনা প্রয়োজন, কোন জিনিসটা জানা প্রয়োজন – সেই ব্যাপারে স্পষ্ট একটি রোডম্যাপ থাকতে হবে – এবং এর বাইরে যা-ই সামনে আসুক, যত লোভনীয় অফারই আসুক – সেগুলোকে না বলতে হবে।
আপনার যদি কাল সকালে জরুরী মিটিং থাকে, তবে বন্ধুরা যতই ফ্রিতে সিনেমা দেখার বা ঘুরতে যাওয়ার অফার দিক – তাদের না করে দিন। কারণ, সকালের মিটিং এর জন্য রাতে ভালোমত রেস্ট নেয়া বা ফাইলে চোখ বুলানো আপনার জন্য বেশি জরুরী।
যদি বাজারে গিয়ে দেখেন কোনওকিছুতে সীমিত সময়ের জন্য ছাড় চলছে, তবে সেটা কেনার আগে দেখুন, তা আপনার প্রয়োজন কি না? – যদি প্রয়োজনীয় কিছু না হয়, তবে যত কম দামে, আর যত লিমিটেড টাইম বা স্পেশাল অফারের কথাই বলা হোক না কেন – কেনার কোনও দরকার নেই।
নিজের জীবনের একটি নির্দিষ্ট লক্ষ্য ঠিক করে সেই লক্ষ্য পূরণের জন্যই কাজ করুন। অন্য কাজে বেশি লাভের হাতছানি থাকলেও লোভের ফাঁদে পা দেবেন না। লোভের ফাঁদ, FOMO- এর ফাঁদেরই একটি রূপ।
জীবনের পাশাপাশি প্রতিটি দিনের জন্য লক্ষ্য ঠিক করুন, এবং সেই লক্ষ্য পূরণে আপনাকে কি কি করতে হবে, তা আগের রাতে, বা সেদিন সকালে লিখে রাখুন – এবং খুব জরুরী না হলে লিস্টের বাইরে কোনও কাজই করবেন না।
নিজে কি চান, এবং কি আপনার জন্য প্রয়োজন – তার ব্যপারে স্পষ্ট ধারণা থাকলে, এবং সেই অনুযায়ী কাজ করলে FOMO- এর ফাঁদের হাত থেকে অনেকটাই বেঁচে থাকবেন।