সত্যি কথা বলতে এটা মানুষের জন্মগত বৈশিষ্ট। যেটা নেই – সেটা সে পেতে চাইবে। অন্যের কিছু থাকলে সেটা পেলে নিজের কেমন লাগবে – এটা ভাববে, এবং পেতে চাইবে। কিন্তু এটা যখন নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়, অথবা মানুষ যখন বোঝে না – এটা কি, অথবা কিভাবে এবং কেন তার ক্ষতি করছে -তখনই সে ফাঁদে পড়ে যায়।
এর আগের পয়েন্ট গুলোতে আমরা আপনাকে FOMO কি, এবং কিভাবে এটা মানুষের ক্ষতি করে – তা বোঝানোর চেষ্টা করেছি। এখন এটার নিয়ন্ত্রণ ও এই ফাঁদ থেকে বাঁচার কয়েকটি উপায় আপনাকে জানাবো।
১। মানুষের পক্ষে সবকিছু করা সম্ভব না এবং পাওয়াও সম্ভব না, এবং এইটা পাবার আশা করা উচিৎও নয় – এই সত্য মেনে নিন
আপনি যত দিনই বাঁচেন না কেন, আপনার পক্ষে পৃথিবীর সব খাবার খাওয়া, সবকিছু দেখা, সব প্রোডাক্ট ব্যবহার করা সম্ভব নয়। এবং সেটা উচিৎও নয়। সবকিছুর কথা বাদ দিন, পৃথিবীতে যত উপায়ে মাংস রান্না হয় – সব কি এক জীবনে চেখে দেখা সম্ভব?
আপনি যখন এই সত্যিটা উপলব্ধি করবেন যে, একজন মানুষ তার জীবনে পৃথিবীর বেশিরভাগ খাবার, অভিজ্ঞতা, পোশাক, জ্ঞান – কিছুরই স্বাদ পায়না – এবং সেটা হাজার বছর বাঁচলেও সম্ভব নয় – তখন দেখবেন ব্যাপারটা অনেক সহজ লাগছে।
পকেটে একটি কার্যকর, দামী ফোন থাকা সত্ত্বেও যদি নতুন মডেলের ফোন কিনতে ইচ্ছা করে, তবে ভাবুন – আপনি মারা গেলেও তো আরও শত শত ডিভাইস বের হবে – সেগুলোকি আপনি ব্যবহার করতে পারবেন?, অথবা, যে ফোনটি আপনি কিনতে চাচ্ছেন, সেটা দিয়ে কি এমন কোনও বিশেষ কাজ হয় – যা না করতে পারলে আপনার দারুন ক্ষতি হয়ে যাবে?
আমরা পৃথিবীতে আসার আগে অনেক কিছু ছিল, যা এখন আর পাওয়া যায় না। আমরা চলে যাওয়ার পরও এমন অনেক মজার মজার জিনিস আসবে – যার কথা আমরা ভাবতেও পারি না। এসব নিয়ে আফসোস করে যেমন লাভ নেই, তেমনি যা দরকার নেই – তা না থাকলেও আফসোস করার কোনও মানে হয় না।