ইদানিং কয়েকজন উদ্যোক্তাদের লেখাতে এই টপিক টা পাচ্ছি যে- উদ্যোক্তাদের যেকোন অনুদান যেন কোন সংগঠনের মাধ্যমে দেয়া না হয়।এই লেখাটা মুলত তাদের কথার উত্তর বা আলোচনা হিসাবে লিখছি।
আপনাদের বক্তব্য হলো- অনুদান সংগঠনের মাধ্যমে না দিয়ে যেন ম্যান বাই ম্যান দেয়া হয়।এই চাওয়াটা নিতান্তই অজ্ঞতার চাওয়া।কেননা,গনপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের অনুদান আইন আগে বুঝতে হবে।একটা সংগঠন কেন তৈরি হয়,কেন একটা ফোরাম তৈরি হয়, কি তাদের দ্বায়িত্ব থাকে এবং কেন তাদের রেজিষ্ট্রেশন বা নিবন্ধন দেয়া হয় সেটি আগে জানোতে হবে।
একটা উদ্যোক্তা উন্নয়ন সংগঠনের কাজ হলো- উদ্যোক্তাদের মান উন্নয়ন করা এবং সেই আলোকে যা যা করা দরকার সেটার চাহিদা তৈরি করে সরকারের মাধ্যমে উদ্যোক্তাদের উন্নয়ন করাতে হবে।
এটা একটা সিস্টেমেটিক ওয়ে।এখানে অর্থ মন্ত্রানালয়, জন প্রাসাশন মন্ত্রানালয় সহ অনেকগুলি বিভাগ জড়িত।আবার এই বিভাগগুলি চাইলেই দেশ থেকে নিডি উদ্যোক্তা খুঁজে বের করার মত পজিশনে থাকেনা।বলা বাহুল্য যে,এই জন্যই তাদের সাবোর্ডিনেট অর্গানাইজেশন থাকে,যারা মুলত এই উদ্যোক্তাদের খুঁজে বের করেন এবং তাদের ডেভলপমেন্টে সাহায্য করার জন্য তালিকা প্রনয়ন করেন।
তাই,আমাদের আবেদন হবে এমন যে,ওমুক সংগঠনের বা অর্গানাইজেশনের ওমুক কে বাদ দেন কিন্তু তাদের কার্যক্রম সেইম থাকবে।প্রক্রিয়ার পরিবর্তন হবে যেন,মুখ চিনে বা তেল দেয়া পাবলিকগুলিকেই হিসাবে না নিয়ে বরং- সত্যিকারের উদ্যোক্তা খুঁজে বের করতে হবে।যিনি স্কিলড ও নিডি।
আরো একটা কথা দেখছি- সফল উদ্যোক্তাদের নিয়ে কাজ করা হবে কিংবা সাক্ষাৎকার নেয়া হবে।দেখেন ভাই- সফলতার সংজ্ঞা কি?
সবার আগে দেখতে হবে- কমনলি সফলতার কি কোন সংজ্ঞা আছে? কেউ ১ লক্ষ টাকা প্রফিট করলেই কি তিনি সফল উদ্যোক্তা?
নিশ্চয়ই সেটা নয়।সফলতার সংজ্ঞা আইডেন্টিটিফাই করতে হবে।নিজ নিজ পারস্পেক্টিভ ও সিচুয়েশন হিসাবে নিয়ে সফলদের তালিকা করতে হয়।জানতে হয় সঠিক অবকাঠামো কি।এগুলি না জেনে হুটহাট যা তা দাবি করে বসলেই তো হয়না।
এরচেয়ে বড় কথা হলো,আপনাকে সবার আগে জানতে হবে- কে উদ্যোক্তা, কে ব্যাবসায়ী আর কে স্টার্টআপ রান করছেন?
অনুদান পাবার কথা স্টার্টআপদের, অনুদান পাবার কথা উদ্যোক্রাদের অথচ আমরা এসব দিচ্ছি ব্যবসায়ীদের আর বলছি- উদ্যোক্তাদের এই লাগবে,সেই লাগবে।
আগে তো সংজ্ঞাগুলো সঠিকভাবে জেনে নিন,তারপর নাহয় আইডেন্টিফাই করেন।