পরিকল্পনাবিহীন ব্যবসা শুরু করলে লাভের চেয়ে লোকসানই বেশি। এতে নানান ধরনের সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়।
চলুন জেনেনি কি কি কারনে মূলত ব্যবসায় অসফল হয়।
★বাজার চাহিদা: কোন ব্যবসায় উদ্যোগ বা স্টার্টআপ তৈরির আগে চিন্তা করতে হবে যে প্রোডাক্ট বা সেবা নিয়ে তারা বাজারে আসছে তা বাজারে চলবে কিনা।কারণ, আপনার প্রোডাক্ট বা সার্ভিস আপনার কাছে একদিকে অনেক আকর্ষণীয় মনে হতে পারে কিন্তু অন্যদিকে আবার বাজারে তার চাহিদা নাও থাকতে পারে। তাই শুরুর আগে বাজারে চাহিদা কেমন তা বিবেচনা করে ব্যবসায় উদ্যোগ নিতে হবে।
★বিনিয়োগযোগ্য অর্থ :ব্যবসা শুরুর আগে আপনি ভাবুন আপনার ব্যবসায়ে আয় শুরু হতে কেমন সময় লাগবে। যদি এক বছর হয় তখন আপনার ভাবতে হবে এই একবছর আপনার ব্যবসার এবং সংসারের খরচ কিভাবে চলবে।আর যদি এক বছরে আয় শুরু করতে না পারেন, আরও ছয় মাস বেশি সময় লাগে তখন? বসে একটু ভাবুন, পথ পেয়ে যাবেন। তারপর শুরু করুন। যারা শুরু করে টাকার অভাবে ব্যর্থ হচ্ছেন তারা প্রয়োজনীয় চিন্তা ও পরিকল্পনা করেন নাই।
★সঠিক টিম গঠন: টিম গঠন করা সহজ কাজ নয়। টিম মেম্বারদের দক্ষতার চেয়ে আন্তরিকতা ও নিবেদিতপ্রাণে কাজ করার সক্ষমতা বেশি দরকার। কাজের প্রতি মনোযোগ, একাগ্রতা এবং সমস্ত অন্তর দিয়ে কাজ করার ইচ্ছা থাকলে দক্ষতা বাধা হয়ে দাঁড়ায় না, দক্ষতা অর্জন করা যায়।
★প্রতিযোগিতায় টিকতে না পারা: প্রতিযোগিতার বাজারে অন্যদের হালকাভাবে নেয়ার কোন সুযোগ নেই।প্রতিযোগিদের হালকাভাবে নিলে তা দ্রুত আপনার ব্যবসায় প্রভাব ফেলবে।
★মূল্য নির্ধারণ: কোন স্টার্টআপ এ তৈরি পণ্য বা সেবার জন্যে সঠিক দাম নির্ধারণ করা খুবই জরুরি। খুব বেশি বা খুব কম দাম স্টার্টআপ এ ক্ষতির কারণ হতে পারে।
★ক্রেতার চাহিদার গুরুত্ব দেওয়া: পণ্য বা সেবা সম্পর্কে গ্রাহক কী বলছেন সেটা বিবেচনায় নিতে হবে এবং সে অনুযায়ী সেবার মান বাড়াতে হবে। গ্রাহকের প্রতিক্রিয়া অনুযায়ী পরিবর্তন আনতে হবে তবেই সফলতা আসবে। তা না হলে উদ্যোগ শুরুতেই ব্যর্থ হবে।
★সঠিক অবস্থান: পণ্য বা সেবা দেয়ার সঙ্গে স্টার্টআপের অবস্থান বড় প্রভাব ফেলে। অনেক সময় সঠিক জায়গায় উদ্যোগটির অবস্থান না হলে সেই ব্যবসা ব্যর্থ হয়।
★মনোযোগ ও দক্ষতার অভাব: ৯ শতাংশ ক্ষেত্রে মনোযোগ ও দক্ষতার অভাবকে ব্যবসায় ব্যর্থতার কারণ হিসেবে ধরা হয়েছে।