অনলাইন বিজনেস করতে গেলে পড়ার ও জানার সময় থাকতে হয় 
আমার কথার সাথে আপনার দ্বিমত থাকতে পারে,আপনি এটা বলতেই পারেন যে,”লেখাপড়া করবোনা বলেই বিজনেস করতে এসেছি।”
আসলে এটা বলার দ্বায় আমি আপনাকে দিব না।এই দ্বায় টা আমি আপনার পরিবার আর আমাদের সমাজ কে দিব।এই সমাজে মানে আমাদের কালচারে,এখনো সবচেয়ে কম মেধা সম্পন্ন ছেলে বা মেয়েকে বিজনেস করার জন্য উপযুক্ত ধরা হয়।
কারন,আমাদের সমাজ বিশ্বাস করে যে,যার মেধা আছে সে হবে ডাক্তার-ইঞ্জিনিয়ার বা বি সি এস ক্যাডার আর যার মেধা নেই সে করবে বিজনেস।
অথচ আপনি যদি সারা বিশ্বের এক কোটি ধনী ব্যাক্তির এক তালিকা তৈরি করেন,সেখানে বাংলাদেসগের দুর্নীতি পরায়ন চাকুরীজীবি ছাড়াই লিস্ট পাবেন সব ব্যবসায়ীদের।আমরা আসলে এখনো ঐ বৃটিশ দ্বাসত্ব থেকে মুক্তি পাইনি,আমরা এখনো বিশ্বাস করি যে,চাকুরীই আমাদের একটা মুক্তির পথ, অবশ্য এইদেশে সেটা না ভাবার কোন অবকাশ নেই।
কারন,এদেশে চাকুরী করে অনেক টাকার মালিক হওয়া যায় আর সরকারী চাকুরী করে জনগনের সেবকের জায়গায় সে এক বিরাট কিছু ভেবে চলা যায়।
মুল কথায় আসি,সারা বিশ্বকে চালাচ্ছে বিজনেসম্যানেরা।এ দিক দিয়ে আমরা এখনো অন্ধকার জগতে থাকি তাই এই খোঁজ নাও রাখতে পারি।সারাবিশ্বের অর্থনৈতির চাকা চলছে এই বিজনেসম্যানদের দিয়েই।
সেখানে আপনি একটা স্টার্টআপ ওপেন করে বা বিজনেস করতে এসে যদি বলেন যে,আমার পড়ার মত সময় নেই।নেই জানার মত সময়,তাহলে আপনাকে এই সেক্টরে দরকার টা কোথায়?
আপনি বলতেই পারেন যে,কয়টা বড় বিজনেস ম্যানের পড়া লেখার মত সময় আছে?
সময় আছে বা সময় থাকে আর নইলে করে নেয় সময়।আর বাকি যারা পারেন না,তারা ঐ পড়ুয়া অন্যেকারো সময় কিনে নেন।
আর এইজন্যই বিশ্বের সকল কর্মসংস্থান সৃষ্টিই করেন মুলত ব্যবসায়ীরা।
আপনি এত বড় সেক্টরে এসে নিজেকে একটু আলাদা করতে চাইলে,আপনার জন্য লেখাপড়া করাটা মাস্ট।হ্যাঁ,আপনাকে সব বিষয়ে স্কিলড হতে হবেনা বাট জানতে হবে।অন্তত কেউ জেন ঠকাতে না পারে সেইজন্য হলেও জানতে হবে।