কমার্স ডিপার্টমেন্টের কয়েকজন ছাত্র চায়ের দোকানে বসে গভীর আলোচনা করছিল — বিষয়টা সিরিয়াস, মার্কেটিং!
আলোচনার ফাঁকে এক বয়স্ক ভদ্রলোক চা হাতে পাশে দাঁড়িয়ে ছিল, মুখে মুচকি হাসি।
একসময় তিনি আর থাকতে না পেরে বললেন,
— “বাবারা, এত কষ্ট করে মার্কেটিং বুঝতে হবে না, আমি ২ মিনিটে বোঝাই!”
ছাত্ররা অবাক হয়ে তাকাল, “ভদ্রলোক কি আসলেই পারবে?”
ধরো, তুমি একটা বিয়ের দাওয়াতে গেছ।
সেখানে গিয়ে এক অসাধারণ সুন্দরী মেয়েকে দেখলে।

তুমি গিয়ে বললে: “আমি ধনী, শিক্ষিত, সুশীল। তুমি কি আমাকে বিয়ে করবে?”

এটাকেই বলে ডাইরেক্ট মার্কেটিং।

তুমি কিছু না বলে, তোমার বন্ধু মেয়েটিকে দেখিয়ে বলল:
“দ্যাখ, ওই যে আমার বন্ধু — ধনী, শিক্ষিত, সুশীল! বিয়ে করবা?”

এটাকে বলে বিজ্ঞাপন (Advertising)।

মেয়েটি নিজেই এগিয়ে এসে বলল:
“শুনেছি আপনি ধনী, শিক্ষিত, সুশীল — আপনি কি আমাকে বিয়ে করবেন?”

এটাকে বলে ব্র্যান্ড ভ্যালু।

তুমি সাহস করে প্রপোজ করলে, মেয়েটি বলল:
“দুঃখিত, আমি বিবাহিতা।”

এটাকে বলে ডিম্যান্ড-সাপ্লাই গ্যাপ।

তুমি কিছু বলার আগেই আরেকজন ছুটে এসে তাকে প্রপোজ করল, মেয়েটি হ্যাঁ বলল আর চলে গেল।

এটাকে বলে কম্পিটিশন।

বিয়ে হলো, বছর ঘুরতেই একটা ফুটফুটে সন্তান জন্ম নিল।

এটাকে বলে উৎপাদন (Production)।

তুমি মেয়েটিকে বিয়ের প্রস্তাব দিতেই সে তোমার গালে ঠাস করে একটা চড় বসিয়ে দিল!

এটাকে বলে কাস্টমার ফিডব্যাক।

তুমি মেয়েটিকে বিয়ের প্রস্তাব দিচ্ছিলে, এমন সময় তোমার স্ত্রী এসে হাজির!

এটাকে বলে নতুন মার্কেটে ঢোকার ঝুঁকি (Risk of entering a new market)।
ছাত্ররা হা করে তাকিয়ে রইল…
এক কাপ চায়ের মধ্যে জীবনের সবচেয়ে জটিল টপিকটাই যে এভাবে বোঝানো যায়, তা কেউ ভাবেইনি!


মার্কেটিং বুঝতে ক্লাস না, চায়ের দোকানই যথেষ্ট…

নোট- কোথাও যেন এই পোস্ট টা পড়েছিলাম,আমি এটাকে সাজিয়ে নিয়েছি।যার মাথা থেকে আইডিয়া এসেছে ওনাকে স্যালুট দেয়া উচিত।