নিজের একটা অনলাইন ব্যবসা শুরু করার কম্পলিট গাইডলাইন – পর্ব ০১

সারাদিনে আমার ছোট ভাই-বড় ভাই,আত্নীয়-স্বজন
ও বন্ধু-বান্ধব সহ সবার কাছ থেকে ইদানিং যে প্রশ্নটা সবচেয়ে বেশি পাই সেটা হলো-
আপনি তো অনেকের ব্যবসা দাঁড় করিয়ে দিচ্ছেন,তো আমাকেও একটা ব্যবসা দাঁড় করিয়ে দেন।আমাকে কি কিছু বিজনেস আইডিয়া দিয়ে সাহায্য করা যায়?
উত্তর: দুইটা অংশে বলি।আমি কারো ব্যবসা দাঁড় করিয়ে দেবার ক্ষমতা বা যোগ্যতা রাখিনা।এটা আমার রব করেন সব সময়।আমি কেবলমাত্র সঠিক ওয়েতে সবাইকে চালাতে গাইডলাইন দিয়ে থাকি ফ্রীতে ও পেইড।
ফ্রীগুলা পেয়ে যাবেন আমার আইডি, গ্রুপ, পেজে ও ব্লগ সাইটে।আর পেইড নিতে হলে আমার সাথে ওয়ান টু ওয়ান সিটিং করেন ও আমার ক্লাসগুলি করেন।
আর বিজনেস আইডিয়া চেয়েছেন যারা,তাদের জন্য লিখবো ইনশাআল্লাহ বা ভিডিও করবো তবে সেটা আমার আইডিতে না দিয়ে আমার নামের পেজ থেকে পোস্ট করার ইচ্ছা আছে।
যারা ভাবেন,অনলাইনে একটি ব্যবসা শুরু করা সহজ, তাদেরকে বলবো- যদি আপনি সত্যিই কিছু করতে চান তাহলে সঠিকভাবে পরিকল্পনা করুন ও স্টেপ বাই স্টেপ কাজ করার চেষ্টা করুন।তবই সেটা থেকে সফল হবার সম্ভাবনা তৈরি হবে।
মনে রাখবেন- Easy choice make Hard life & hard choice make easy life.
Step by Step guideline for online business –
১. Mindset – সবার আগে এই মাইন্ডসেট করুন যে, আমি সত্যিই কিছু করতে চাই।হাজার প্রতিকুলতা হোক চাই হাজার কটু কথা।আমি সৎ থাকবো এবং সত্যিই কিছু করবো।
২. নিজের মনের কথা শুনুন – ব্যবসা কখনোই অন্যকে দেখে করতে যাবেন না।ওমুক খুব ভালো করছে তাই আমিও ঐটা করবো।এই মানসিকতা থেকে বের হয়ে আসুন সবার আগে।
৩. এক বছর কোন প্রফিট নিব না – নিজেকে বোঝান ব্যবসা কখনোই আমাকে ইন্সট্যান্ট ইনকাম দিবেনা।আর যদি সেটা চান,তাহলে আপনার মাইন্ডসেট এখনো ঠিক হয়নি।
৪. Focus on problem solving – মানুষের সমস্যাটা কিভাবে ও কত সহজ উপায়ে সমাধান করা যায় সেটা নিয়ে কাজ করার প্ল্যান করুন।বাজার থেকে পন্য কিনে এনে বেঁচে দেবার প্ল্যান থাকলে সরে আসুন।
৫. Unique & Creative – নিজের আইডিয়াটা যেন খুব ইউনিক আর ক্রিয়েটিভ হয়।দেখেন,জামদানী তো বাজারে পাওয়া যায়।হাটে গেলেও নিলাম করে কিনে ফেলা যায় তবে আমি কেন আপনার থেকে কিনবো?
৬. Add Value – প্রোডাক্ট নিয়ে কাজ করার আগে ভাবুন যে, আপনি কাস্টোমারকে কি কি ভ্যালূ দিচ্ছেন এই প্রোডাক্ট বা সার্ভিসে।কাস্টোমার কেন আপনার থেকে প্রোডাক্ট/সার্ভিস নিবে।নিজে আগে কাস্টোমার
হয়ে ভাবতে শুরু করুন।
৭. Targeted Customer – আপনার টার্গেটে ক্লায়েন্ট কারা? আপনি কাদের জন্য প্রোডাক্ট বানাতে চাইছেন? তাদের বয়স কত? তাদের আচরণ কেমন? কেন তারা আপনার প্রোডাক্ট/সার্ভিস নিবে?
এই প্রশ্নগুলির উত্তর লিখুন।
৮. Market research – উপরের ৭ টা ধাপ পার করে আসতে পারলে আপনার উচিত মার্কেট এনালাইসিস করতে নেমে পড়া।মার্কেটে বর্তমানে কারা এই সার্ভিস বা প্রোডাক্ট সেল করছে? কিভাবে করছে? তারা কি কি ভ্যালু দিচ্ছে?
এগুলির তালিকা করুন আর আপনি কি কি এক্সট্রা বা ইউনিক ফিচার দিবেন সেটার লিস্ট করুন।
৯. Business Capital Analysis – উপরের সব কাজ শেষ হলে,আপনাকে আপনার ক্যাপিটাল নিয়ে বসতে হবে।শুরুতেই ব্যবসার ক্যাপিটাল কেমন হবে এবং কোথায় কত% ক্যাপিটাল আমি ইউজ করবো সেগুলি নিয়ে প্রপার প্ল্যান করবেন।
“যদি এই সেগমেন্টে সমস্যা ফেস করেন তাহলে আমার ক্লাস আছে করে নিতে পারবেন।এই মাসের ২০ তারিখ সকাল ১০ টা থেকে বিকাল ৫ টা পর্যন্ত সেশনে এগুলি সব শিখিয়ে দেয়া হবে।”
১০. Create your supply chain – ব্যবসা শুরু করে দিলে শুরু হয়ে যাবে তবে সেটার জন্য স্মুথ একটা সাপ্লাই চেইন রেডি করতে হবে।
আপনাকে ডিসাইড করতে হবে ও জানতে হবে যে,কি কি অংশ ও কারা কারা আমার সাপ্লাই চেইনের অংশ।সেই সবগুলি চ্যানেলকে একটিভ রাখা ও প্ল্যানিং আগেই করতে হবে।
যেমন ধরুন- আপনার একজন মেন্টর লাগবে।কারন, নাবিক ছাড়া জাহাজ সমুদ্রে নামালে ডুবে যাবার চান্সই বেশি। আপনার ভালো ডেলিভারি কোম্পানি লাগবে, আপনার ভালো মার্কেটার লাগবে,ইত্যাদি।
এইগুলির ব্যাপারে আপনাকে আগেই লেখাপড়া করে হোক আর নিজে যেয়ে হোক কিংবা দুইটাই একসাথে করে হোক,আগে সব এনালাইসিস করে নিতে হবে।
মনে রাখবেন-
“A complete plan is more than 50% is done.”
“এই সেগমেন্টে সমস্যা হলেও আপনি আমার এ বিষয়ে নেক্সট ২০.০৯.২০২৫ তারিখের সেশনে জয়েন করতে পারেন।”
এরপরের সব স্টেপগুলি আবার অন্য একটা কন্টেন্টে দিয়ে দেবার চেষ্টা থাকবে ইনশাআল্লাহ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *