Artificial Intelligence (Ai) এর উদ্ভাবন ও স্মার্ট ওয়ার্ক এবং আমাদের সম্ভাবনা – অন্তিম পর্ব

পোষ্টের শুরুতে বলেছিলাম- Ai এর উদ্ভাবন আর স্মার্ট ওয়ার্কের কম্বিনেশন মুলত আমাদের জন্য ভয়ের বয়,বরং অপার সম্ভাবনার দুয়ার উন্মোচন করে দিচ্ছে।
এবার সেই ব্যাপারে আসি।যারা গ্রাফিক ডিজাইন সেক্টরে আছে, তাদের একটা বড় সমস্যা ইউনিক আইডিয়া জেনারেট করা। অনেক সময় ঘন্টার পর ঘন্টা পার হয়ে যায় মাথা থেকে কিছু বের হয় না।
এমন অনেক দিন গেছে যে, একটা লোগো বানাতে যেয়ে কনসেপ্ট আসছেনা ৭/১০ দিন ধরে।কিছুই হচ্ছেনা মনের মত করে।এখন Ai এর কল্যানে Premium logo maker Ai ব্যবহার করে কিছু স্পেসিফিক বিষয় মাথায় নিয়ে কাজটা তাকে বুঝিয়ে দিলে ঐ Ai আমাকে খুব সুন্দর সুন্দর ইউনিক লোগো বানিয়ে দেয়।
এখানে বিষয় হলো- আমি যত ভাল কমান্ড দিব,গাইড যেভাবে করবো, ঠিক তেমন ভালো রেজাল্ট আসবে সেখান থেকে।এখন আমার কাজ হলো- ক্লায়েন্ট যে স্যাম্পল দেয়া আর ক্লায়েন্ট পছন্দ করলে ভা কারেকশন দিলে আমি শুধু সেটাকে ভেক্টর ফাইল বানাবো।
মজার ব্যাপার হলো- এখানে ইচ্ছামত,কালার,ফন্ট,আইকন সবকিছুকেই পরিবর্তন করা সম্ভব।পুরো প্রসেস টা শেষ করতে আমার হয়তো ১৫-২০ মিনিট যাচ্ছে।অথচ Ai ছাড়া এই কাজে কয়েক দিন ও ব্যায় করতে হতো।
কত সময় বাঁচলো ভাবেন তো এইবার।
অনেক সার্ভিসের বেলাতেউ, প্রডাক্টের রিয়েল লাইফ ইউজ দেখাতে হয়। এটা যে কি পরিমাণ প্যারাদায়ক কাজ সেটা বলে বোঝানো যাবে না।একটু ঘাঁটাঘাঁটি করতে যেয়ে একটা Ai টুলস পেলাম, সেখানে কোন স্টক ছবি আপলোড করে, যে প্রোডাক্ট স্টক ফটোতে বসাতে চাই, সেটা সিলেক্ট করে দিলেই একবারে হুবহু রিয়েলেস্টকলি প্রোডাক্ট বসিয়ে দেয়। এটা যদি ঠিক মত ইউজ করা যায় তাহলে, ওয়ার্ক লোড কি পরিমাণ কমে যাবে ভাবতেই অবাক হচ্ছি।
তিনটা পোষ্টের মুল কথা হচ্ছে, আমাদেরকে স্মার্ট হতে হবে Ai এর মত নতুন নতুন প্রযুক্তির ক্ষমতাকে বুঝতে হবে এবং এদেরকে ঠিকমত কাজে লাগাতে হবে। Ai এসেছে আমাদের কাজ সহজ করে দিতে, আমাদের চাকরীর বারোটা বাজাতে নয়।
যুগে যুগে নতুন প্রযুক্তি এসেছে পেশার পরিবর্তন হয়েছে। যেমন, যখন পার্সোনাল কম্পিউটার এলো তখন মুলত টাইপ রাইটারের যুগ শেষ হলো। বুকিং এপস আসার পরে টিকেট বুকিং এজেন্টেদের কাজ অনেক কমে গেল, মোবাইল আসার পর কল অপারেটরদের চাকরী চলে গেল।
এভাবে আরো অনেক বলা যাবে। আমরা যে ব্যাংক ব্যাবস্থা এখন দেখছি আপনি লিখে রাখেন একটা সময় ব্যাংক বলে কিছু থাকবে না। এখনই ঘরে বসেই ব্যাংকের একাউন্ট খোলা যাচ্ছে। উন্নত বিশ্বে ক্যাশলেস ইকোনমি ইতি মধ্যেই যাত্রা শুরু করেছে। ব্যাংকিং সেবার সবকিছু যখন Ai দিয়েই করা যাচ্ছে, তাহলে আর ব্যাংকের শাখা রাখার কি দরকার, আর এত এত বেতন দিয়ে কর্মচারী কেন দরকার। কাজেই ব্যাংকের শাখাও এক সময় কমে আসবে।
তাই আসুন সবাই স্মার্ট হই, প্রযুক্তিকে স্মার্ট ভাবে কাজে লাগিয়ে নিজের উন্নয়ন করি।

Newsletter Updates

Enter your email address below and subscribe to our newsletter

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *