Artificial intelligence (Ai) এর উদ্ভাবন, স্মার্ট ওয়ার্ক ও আমাদের সম্ভাবনা- প্রারম্ভিক পর্ব

কিছু দিন আগে একটা পোষ্ট শেয়ার করে জানিয়েছিলাম যে, “দক্ষ লোকের কাজের অভাব হয় না” বিষয়টি আসলেই সত্য কিন্তু আমরা অনেকেই এখনো ঐ কথার সঠিক ব্যবহার বুঝিনি।আমরা এখনো স্মার্ট ওয়ার্ক কি জিনিস এটা বুঝিনা বলেই পিছিয়ে থাকি।
স্মার্টলি কাজ না করলে, শুধু কাজই করে যাবেন, উন্নতি তেমন হবেনা। যারা স্মার্ট তারা ঠিকই সম্ভবনা দেখতে পায়, শুধু তাই না সেটাকে কাজে লাগিয়ে নিজের অবস্থান অন্য লেভেল নিয়ে যায়।
আমার অনেক ছাত্রকে নিয়ে এই কথাটা বলা যায় উদাহরণ হিসাবে,যারা স্মার্ট ওয়ার্ক বিষয়টিকে ইউটিলাইজ করেছে এবং এখন অনেকদুরে এগিয়ে গেছে।ঐ ছেলেগুলিকে আমি যতই দেখি ততই অবাক হই। ওরা অনেক স্মার্ট। কখনো বসে থাকেনা তারা।আর এখন তাদের সকলের উন্নতি দেখে এবং তাদের অবস্থান দেখে আপনি অবাক হয়ে যাবেন।
আসলে যারা স্মার্টভাবে কাজ করে, কাজ তার পিছনে পিছনে ঘোরে। যে স্মার্ট ভাবে কাজ করে, তাকে কোন ভাবেই আটকে রাখা যায় না, সে সকল সমস্যাকে সম্ভবনায় রূপান্তর করতে পারে। এবং ঐ সমস্যার সমাধান করতে পারে বলেই সে এগিয়ে যায়।
মানুষ কত স্মার্ট হতে পারে তার ছোট কিছু উদাহরণ দেয়া যেতে পারে।
উদাহরণ -০১
সেদিন আমাদের এক ভাইয়ের সাথে কথা হচ্ছিলো,উনি একটা চাকুরী করে কিন্তু পাশাপাশি টুকটাক ভিডিও এডিটিং করেন কিন্তু হঠাৎ ফোন করে প্রপার ভিডিও এডিটিং শিখতে চাইলো।
জিজ্ঞাস করলাম হঠাৎ এটা নিয়ে আগ্রহ জন্মালো কেন?উত্তর শুনে আমি অবাক।উনি জানালেন- ওনার ফেসবুক পেজ আর ইউটিউব চ্যানেল টার জন্য প্রফেশনালভাবেই শিখতে চান।উনি ভিডিও বানান মুলত দৈনন্দিনভাবে রাস্তা-ঘাটে ঘটে যাওয়া বিষয় নিয়ে (সবই পজিটিভ বিষয়)।
অনেকের মত,নিজের বেডরুম থেকে ওয়াশরুম দেখান না।
অফিসে আসা যাওয়ার পথে উনি হেলমেটে একটা একশন ক্যামেরা বসিয়ে ভিডিওগুলি করেন এবং তেমন কোন ইডিট করা ছাড়াই তিনি সেগুলো ফেসবুক আর ইউটিউবে ছেড়ে দেন। তার সাবস্ক্রাইবারের সংখ্যা বেশ ভাল। বর্তমানে যা ইনকাম হচ্ছে সেটা তার চাকরীর বেতনের থেকেও বেশি। গল্পটা শোনার পরে অবাক হয়ে গিয়েছিলাম এই ভেবে যে মানুষ কতটা স্মার্ট হতে পারে।
উদাহরণ -০২
যে দোকান থেকে আমি সবজি কিনি,ঐ দোকানির ভাগ্নে, সবেমাত্র ডিপ্লোমা শেষ করেছে।ওর ছবি তোলার হাত বেশ ভালো।মামার দোকানে বসে ছবি তুলে ওর পেজে আপলোড করে এবং মুল্য দিয়ে দেয় প্রতিদিনের।
বাজারে এসে,মাছ-গোশ,সকল প্রকার সবজির একটা মুল্য ও দিয়ে দেয়।শুরুতে ওর লভ্যাংশ বলতে ওর ডেলিভারি চার্জ টাই ছিলো।মানে যে দামে মাছ-গোশ কিনতো সেই দামেই দিয়ে আসতো,শুধু সাইকেলে চড়ে দিয়ে আসার বিল টাই ছিলো প্রফিট।
এখন কাস্টোমার বেড়েছে,আর ওকে বলার পরে বাজার থেকে মাছ ও গরু,ছাগলের মাথা এবং ভুড়ি (বট) রেডি টু কুক করে,ইভেন মুরগির গোশতও সেইম কাজ করে ও ডেলিভারি করছে।এখন ওর মাসিক ইনকাম ৩০০০০+।
এই টাকা কিভাবে কোথায় ইনভেস্ট করবে তাই নিয়ে আলোচনা করছিলো।বললাম জমিয়ে রাখো।জবাবে জানালো- স্যার, আপনিই তো শেখালেন, টাকা জমিয়ে রেখে স্বপ্নকে ছুঁয়ে দেখা যায়না।টাকা সঠিক জায়গায় ইনভেস্ট করতে হয়।
আমি অবাক হয়ে বললাম – তোমার সেই সময়টা আসুক আগে।আমি বলে দিব।একবার ভাবেন তো ছেলেটা কতটা স্মার্ট।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *