Physical Address
ICT Care, 145 Jail Rd, Jashore
01921-816779
আলোচনার বিষয়বস্তু- ব্রান্ডিং কেন গুরুত্বপূর্ন
একটা উদাহরন দিয়ে শুরু করি, ধরুন আপনাকে কয়েকটি আইটি ব্রান্ডের নাম বলতে বলা হলে, আপনার মুখ থেকে ICT CARE এর থাকার সম্ভাবনা আছে।কারন আপনারা ম্যাক্সিমামই এখানে উদ্যোক্তা, আর উদ্যোক্তাদের নিয়েই কাজ করে ICT CARE
আবার আপনাদেরকে যদি বলা হয় যে, আপনার প্রিয় বই এর নাম বলেন।তাহলে সেই তালিকায়, আমার লেখা- “অনলাইন উদ্যোক্তার ১০০ দিন” বইটি থাকতে পারে।কারন- আপনারা জানেন যে, বাংলাদেশে উদ্যোক্তাদের (এফ-কমার্স) জন্যই প্রকাশিত হওয়া প্রথম বই এটি।
দুইটা উদাহরন থেকে নিশ্চয়ই আপনারা ব্রান্ডিং নিয়ে কিছু ধারনা করতে পারছেন।
ব্র্যান্ডিংয়ের গুরুত্ব
ব্র্যান্ডিং আপনার পণ্য বা প্রতিষ্ঠানকে মানুষের মধ্যে আলাদাভাবে পরিচিত করে-
একজন মানুষের যেমন কিছু চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য থাকে, তার আচার-আচরণ, পছন্দ-অপছন্দ, জামাকাপড়ের ধরন, বন্ধুবান্ধব, কাজ ইত্যাদির মাধ্যমে তার একটি স্বকীয় পরিচয় আমাদের মাঝে তৈরি হয়। একটি পণ্য বা প্রতিষ্ঠানেরও এমন কিছু বৈশিষ্ট্য থাকে যেগুলোর মাধ্যমে আপনি একে চিনতে পারেন।
যেমন- সৌভিক ভাই, সব সময় পড়ালেখা করতে বলেন এবং নিজে নিজে শেখায় জ্বোর দেন। আবার তার প্রতিষ্ঠান কাজ করে উদ্যোক্তাদের নিয়ে।
ব্র্যান্ডিং ব্যবসায়িক প্রতিযোগিতায় আপনার পণ্য বা প্রতিষ্ঠানকে আলাদা অবস্থান দেয়-
বাজারে একই ধরনের বিভিন্ন পণ্য পাওয়া যায়। কিন্তু সকল পন্যের বিক্রি কিন্তু একই রকম হয়না। যেসব পণ্যের ব্যাপারে মানুষের ইতিবাচক ধারণা বেশি সেগুলোর বিক্রির হারও বেশি।
যেমন, সেদিন দেখলাম আমাকে নিয়ে একজন বলেছেন-আমার কাছে এসে নাকি মানুষ ঠকছেন তাই আমার কাছে না আসার ব্যাপারে সবাইকে বলেছেন,এদিকে তার সারামাসের ফেসবুক বুষ্টিং এ ডলার সেল হয়েছে ৭০০০+, আর আমার এই ৭০০০ ডলার মাসে সেল হবার নজির ক্রস হয়েছে আরও ২ বছর আগে।
এটাও কিন্তু আমার কোম্পানির ব্রান্ডিং এর ফসল।
কাস্টমারদের সাথে আপনার পণ্য বা প্রতিষ্ঠানের একটি সম্পর্ক তৈরি হয় ব্র্যান্ডিংয়ের মাধ্যমে-
শুনতে বড়ই বেমানান কিংবা অদ্ভুত শোনালেও এটা সত্যি যে, কোন পণ্য বা প্রতিষ্ঠানের ব্র্যান্ডিং ভালো হলে কাস্টমারদের আস্থা অর্জন করা সহজ হয়। এতে করে তারা বারবার আপনার পণ্যের কাছেই ফিরে আসবে।
যেমন- আমার ৯৫% ক্লায়েন্ট আমার রেগুলার ক্লায়েন্ট এবং তারা আমি ছাড়া অন্য কোথাও কাজ করবেনা।
প্রতিষ্ঠানে ভালো কর্মী আকৃষ্ট করতে আপনাকে সহায়তা করে ব্র্যান্ডিং-
ব্র্যান্ডিংয়ের মাধ্যমে আপনার পণ্য বা প্রতিষ্ঠানের একটি সামাজিক মূল্য তৈরি হয়। এর মাধ্যমে আপনার প্রতিষ্ঠানে কাজ করার জন্য মানুষের আগ্রহ বেড়ে যায়।
যেমন, মাইক্রোসফট বা গুগলের কথা ধরা যাক। ব্র্যান্ড হিসাবে তাদের পরিচিতি এত ভালো যে পৃথিবীর সবচেয়ে দক্ষ ও মেধাবী কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ারদের স্বপ্ন থাকে এ কোম্পানিগুলোতে কাজ করার।