Don’t Die, before die
শিরোনাম দেখে চমকেই গেছেন,ভাই এইসব কি বলে।নাহ এত ভয় পাবার কিছু নাই,আবার এত আনন্দ পাবার মতও কিছু নাই।
এই দুইলাইন পড়ার পরে নির্ঘাত সবাই বলতে শুরু করেছেন মনে মনে যে- সৌভিক ভাই দিন দিন আধ্যাত্বিক টাইপ কথা বার্তা বলেন এবং সবকিছুকেই যেন কমপ্লেক্স টাইপ বানিয়ে ফেলছেন।
আসলে কমপ্লেক্স আমি বানাচ্ছিনা,বানিয়ে ফেলেছি আমি,আপনি ও আপনারা সবাই মিলেই।আসুন ব্যাখ্যা করি-
আমাদের সকলের জীবনের দুইটা ট্রাঞ্জিশন পিরিয়ড যাই,সেটা কি জানেন?
একটা হলো- এইচ এস সি পরীক্ষা দেবার পরে,আর একটা হলো- গ্রাজুয়েশন কমপ্লিট করার পরে।
কিভাবে এইটা ট্রাঞ্জিশন পিরিয়ড?
দেখেন মোটামুটি আমরা এইচ এস সি পর্যন্ত বলতে পারি যে- আমরা অমুক ক্লাসে পড়ি বা অমুক পরীক্ষার্থী। কিন্তু এই সময়ের পরে আপনি বা আমি আর বলতে পারিনা যে,আমরা অমুক ক্লাসে পড়ি কিংবা অমুক পরীক্ষার্থী।
তখন আমাদের একটা আইডেন্টিটি ক্রাইসিস চলে,অন্তত কোন বিশ্ববিদ্যালয়ে চান্স না পাওয়া পর্যন্ত।আবার চান্স পেয়ে গেলে এই ক্রাইসিস চলে যায়।
নতুন করে এই আইডেন্টিটি ক্রাইসিস আবার শুরু হয় গ্রাজুয়েশন শেষ করার পরে।এই ক্রাইসিস টা এতই বড় হয়ে যাই যে, আমরা আমাদের সকল চাওয়া,পাওয়া,শখ,আহ্লাদ কিংবা স্বপ্নকে জলাঞ্জলি দিয়ে দিই।
আসলে তখন সকলের মাথায় একটা চাপ অটোমেটিক অনুভূত হয়,আর সেটা হলো কিছু একটা করে অন্তত একটা আইডেন্টিটি ক্রিয়েট করা। আর এই খপ্পড়ে পড়েই আমরা হয়তো এমন একটা চাকুরী করি যেটা আমার হবিতে ছিলোনা,হয়তো এমন বসের আন্ডারে জব করি যাকে আমার প্রতিদিন মেরে ফেলতে মন চায়,হয়তো এমন কোন জব করি যেটা প্রতি মাসের শেষেই ছেড়ে দিতে মন চায়।
আর এই কারনেই আমি বলেছি- Don’t Die, before die
দেখুন, চাকুরী হয়তো সকল গ্রাজুয়েটকে একটা করতেই হয় মেনে নিলাম,কিন্তু তাই বলে নিজের চাওয়া,পাওয়া,শখ,আহ্লাদ কিংবা স্বপ্নকে জলাঞ্জলি দিয়ে কেন চাকুরী করতে হবে। যারা এইগুলি জলাঞ্জলি দিয়ে কাজ করেন তারা কিন্তু মরার আগেই একবার মারা যান,শুধু কবর দেবার আনূষ্ঠানিকতাটা বাকি থেকে যায়।