FOMO, একটি ফাঁদ, যেভাবে আমাদের মাঝে বিচরন করে – পর্ব ০১

মনে করুন, আজ বৃহস্পতিবার। এই সপ্তাহের পুরোটা কাজ/পড়াশুনা নিয়ে দারুন ধকল গেছে। সন্ধ্যায় বাসায় ফিরে আপনার মনে হলো এক্ষুনি শুয়ে পড়তে। কালকের পুরো দিনটাও ঘুমানোর প্ল্যান আপনার। কিন্তু হঠাৎ করেই বন্ধুর ফোন এল, তারা সবাই মিলে সিনেমা দেখার ও একসাথে খাওয়ার প্ল্যান করেছে।
যদিও আপনার ভয়ানক ক্লান্ত লাগছে – কিন্তু আপনি তাকে দু’টি কারণে ’না’ বললেন না। এক, বন্ধুরা আপনার ওপর মাইন্ড করতে পারে; দুই, না গেলে হয়তো দারুন মজা মিস করবেন এবং পরে যখন বন্ধুদের ফেসবুক পোস্ট দেখবেন, এবং এই রাতের গল্প শুনবেন – তখন আপনার খারাপ লাগবে।
বন্ধুদের কাছে নিজের ইমেজ এবং মজা – এই দু’টি জিনিস হারানোর ভয়ে আপনি ভয়ানক ক্লান্ত হওয়ার পরও আপনি গেলেন।
ফলাফল, দরকার মত রেস্ট নিতে না পারায় আপনি পরের সপ্তাহের জন্য রিচার্জ হতে পারলেন না, এবং কাজ/পড়াশুনায় আপনার পারফর্মেন্স খারাপ হল।
অথবা ধরুন, চা-পাতা কিনতে সুপারশপে গেলেন। মাসের শেষে আপনার হাতে বেশি টাকা নেই, ভেবেছিলেন ছোট্ট একটা ১০০ গ্রামের প্যাকেট কিনবেন। কিন্তু সেখানে গিয়ে জানতে পারলেন, ৫০০ গ্রামের দু’টো প্যাকেট কিনলে ২৫০ গ্রামের একটি ফ্রি পাবেন। প্রয়োজন না থাকার পরও আপনি বাড়তি ২৫০ গ্রামের জন্য ১০০ গ্রামের বদলে ১ কেজি চা পাতা কিনলেন।
ফলাফল, আপনার পকেটের টাকায় টান পড়ল, এবং দেখলেন চায়ের মেয়াদ আছে আর মাত্র এক মাস – এই সময়ে এত চা খেয়ে শেষ করতে পারবেন না। যার ফলে, চা গুলো হয় নষ্ট হবে, অথবা কাউকে দিয়ে দিতে হবে।
কিন্ত কেন আমরা ক্ষতি হবে বা প্রয়োজন নেই জানার পরও কোনও কিছুতে অংশ নেই?

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *