Success is the best revenge
এইকথাটা শুনেছেন অনেকেই,একইসাথে এই জায়গায় পৌছে অথবা এইভাবে শত্রু কিংবা মিত্রের নিকট নিজের সম্মান অর্জনের ইচ্ছা পোষণ করেননা এমন মানুষের সংখ্যা বিরল বা নেই বললেই চলে।
তা এই কাজে সমস্যা কোথায়,বলো দেখিনি বাপু?
সমস্যার আসলে তেমন কিছুই নেই,আবার আছেও।এই লেখার এমন ধরন দেখে কিছু মানুষের বলতে ইচ্ছা হবে- আরে মশাই,আপনি বাপু একটু খুলে বলুনতো।তাদের উদ্দেশ্যে বলতে চাইছি- ও বাবা,বলছি বলছি।
সমস্যাটা হলো আমাদের মনবাসনা পুরণের জন্য যে কাজগুলি করা দরকার সেগুলির ইচ্ছাশক্তির কমতি এবং একইসাথে আমাদের কিছু ভুল একজায়গায় হয়ে ঐ রিভেঞ্জ নেবার স্বপ্নে জল ঢেলে দেয়।
যারা সফল হয়েছেন তারা যা করেছেন সেগুলি দেখলেই আমরা আমাদের ভুলগুলি খুঁজে পাবো,কি করেছেন তারা-
পরিকল্পনা- সফলতার ধারে কাছে যেতে হলেও আপনাকে পরিকল্পনা করতে হবে,এই কাজের একটা অংশ হলো-দিনের শুরুতেই সুন্দর একটি পরিকল্পনা করে নেয়া।এবং দিনের শেষে সেই পরিকল্পনার বাস্তবায়ন কতটা করতে পেরেছেন সেটা এনালাইসিস করা।
একজন দার্শনিক বলেছিলেন- আমায় যদি একটি কুঠার দিয়ে ৩ ঘন্টায় একটি গাছ কাটতে বলা হয় তাহলে আমি,২ ঘন্টা ব্যয় করে কুঠারটিকে ধারালো বানাতে চাই।বুঝতেই পারছেন সঠিক পরিকল্পনা কতটা জরুরী।
শ্রম ও বাস্তবায়ন– আমি খুব সুন্দর পরিকল্পনা করি কিন্তু আমিতো এখনো সফল নই।এর কারন হলো-পরিকল্পনা যত সুন্দরই হোক না কেন, যদি সেটার জন্য শ্রম না দেয়া হয় এবং বাস্তবায়ন না করা হয় তাহলে অবশ্যই সফলতা এসে ধরা দিবেনা। পরিকল্পনা করে বসে থাকলে সব শেষ।
“পৃথিবীতে মানুষ যতটা সময় স্বপ্ন দেখতে ব্যয় করে,তার অর্ধেক সময় যদি সকলে কাজের পিছনে দিতো,তাহলে পৃথিবীতে দারিদ্রতা শব্দের বিলুপ্তি ঘটিয়ে দেয়া সম্ভব”
নিজের শক্তি ও দুর্বলতা বের করা– সকলের স্কিল একই হবেনা,আবার সকলের উইকনেস ও একই হবেনা।তাই অন্যেরটা না দেখে বরং আমাদের উচিত নিজের কি আছে সেটি নিয়ে এগিয়ে যাবার চেষ্টা করা।
জ্যাক মা বলেছিলেন– তিনি স্কুল থেকে কলেজে ৭ বার ফেল করেছিলেন,কিন্তু সেই তিনিই আজ পৃথিবীর অন্যতম সেরা ধনী ব্যাক্তিত্ব এবং আলিবাবা গ্রুপের সি ই ও।
ধৈর্য- আমরা যা কিছুই করতে চাইনা কেন,ধৈর্য হারালেই সব শেষ।এই দেখুননা টেন্ডুলকার ও বিনোদ কাম্বলি একই সাথে ক্রিকেট খেলতেন এবং ভালো বন্ধুও ছিলেন।কিন্তু ধৈর্য হারিয়ে আজ বিনোদ কাম্বলি কোথায় হারিয়ে গেছেন।আর টেন্ডুলকারকে নিয়ে আলাদা করে বলার কিছু নেই।
অজুহাত– সফল মানুষদের দুইটি হাত,আমাদের তিনটি হাত। একটি হাত বেশি নিয়েও আমরা পিছিয়ে তার কারন হলো- এই হাত কাজ করার পরিবর্তে কাজ থামিয়ে দিতে বেশি পটু।
স্টিভ জবসকে যখন Apple কোম্পানিতে আনফিট বলে বের করে দেয়া হলো,তার নিজেরই কোম্পানি থেকে তখন তিনি কাউকে দোষ দেননি,বরং তিনি নিজেকে নতুন করে চিনিয়েছেন এনিমেশন তৈরি করার মাধ্যমে,এরপরে ফিরে এসে কোম্পানি কিনে নিয়েছেন এবং স্মার্টফোন ও তৈরি করলেন এপেলের।
এখন পড়ালেখা অনেক হলো,কাজে নেমে পড়ুন,নইলে রিভেঞ্জ নেয়া হবেনা।