টপিক- ই-কমার্স ওয়েবসাইট তৈরির বিস্তারিত নিয়মকানুন

সেশন-১.২
ই-কমার্স ওয়েবসাইট নিয়ে আলোচনা করার আগে আমাদের উচিত হচ্ছে, ই-কমার্স বিজনেস কি সেটা জেনে নেয়া।যেহেতু আমি এর আগে এই সংক্রান্ত ২০ টির বেশি কন্টেন্ট লিখেছি তাই এখন আর এটাকে আলাদা করে আলোচনা করছিনা।
আমার সকল কন্টেন্ট পেতে www.ictcreation.com এই ব্লগে সার্চ করতে পারেন।
কেন ই কমার্স ওয়েবসাইট তৈরি করা প্রয়োজন?
যদিও, এই মুহুর্তে ওয়েবসাইট তৈরির প্রয়োজনীয়তা আপনি বুঝে ফেলেছেন। কারণ, ই কমার্স ব্যবসা করবেন কিন্তু ওয়েবসাইট নাই, এটা হাস্যকর। তারপরেও, কিছু মানুষ বলতে পারে ভাইজান, আমি ফেসবুক পেজ দিয়েই তো আমার পণ্য বিক্রি করতে পারছি তাহলে, অযথা, ওয়েবসাইট তৈরি করে টাকা-পয়সা নষ্ট করবো কেন?

তাদের জন্য বলা প্রথমত, ফেসবুক বিজনেসকে এফ-কমার্স বলে। e-commerce নিয়ে কাজ করতে ওয়েবসাইট লাগবেই,তবুও যারা বুঝছেন না, তাদের জন্য নিচের আরও কিছু ব্যাখ্যা দেওয়া হল।
  • নিজস্ব ব্রান্ড আইডেন্টি: আপনার একটি ওয়েবসাইট থাকা মানে, আপনার একটা ব্রান্ড আইডেন্টি তৈরি হলো। যেমন, মানুষ অ্যামাজন, আলিবাবা কিংবা দারাজের নাম মনে রাখে। কিন্তু, এখন ফেসবুকের কোন শপ পেজটার নাম আপনার মাথায় আসছে বলতে পারবেন?
  • বিশ্বস্ততা: একটা মানসম্মত ওয়েবসাইট সহজেই কাস্টমারের আস্থা ও বিশ্বাস অর্জন করতে পারে। কিন্তু, একটা ফেসবুক পেজ এটা সহজে অর্জন করতে পারে না।
  • পণ্য ডিসপ্লে করার সুবিধা: ওয়েবসাইটে আপনি আকর্ষণীয়ভাবে ক্যাটেগরি অনুযায়ী পণ্য প্রদর্শন করতে পারবেন। গ্রাহক খুব সহজে সার্চ করে কিংবা পছন্দমতো পণ্য খুঁজতে পারবে। এছাড়া, সহজে অর্ডারও করতে পারবে। অনেকটা সুপার-শপের মতো, যদিও এটা সুপার-শপের থেকে উন্নত এবং সহজ।
  • সহজে মার্কেটিং করা: যারা ফেসবুক বা গুগলে এড দেন। তারা জানেন যে একটি ওয়েবসাইট থাকলে কত সহজে কাস্টমার রি-টার্গেট সহ, দ্রুত বিক্রি বৃদ্ধি করা যায়।
  • বিক্রি বৃদ্ধি: ওয়েবসাইটে ডিরেক্ট কাস্টমার আসার পাশাপাশি ফেসবুক এবং গুগল সার্চ ইঞ্জিন থেকেও ভিজিটর আসে। গুগল থেকে একদম পারফেক্ট কাস্টমার পাওয়া সম্ভব। যখন একজন মানুষ অনলাইন থেকে নকশি কাঁথা কিনবে কিন্তু, সে জানে না কোথা থেকে কিনবে। তখন সে গুগলে সার্চ করবে। আর গুগলে সার্চ করার পর যদি আপনার ওয়েবসাইট প্রথমে আসে? কি হবে তখন চিন্তা করুন? খুব সহজে একজন কাস্টমার পেয়ে গেলেন? এই কাজটাকে এসইও বলে। আপনার ওয়েবসাইট গুগলের প্রথমে রাখতে চাইলে, এসইও করতে হবে অথবা গুগলে অ্যাড দিতে হবে।
  • গ্রাহক চাহিদা বোঝা: ওয়েবসাইটের মাধ্যমে গ্রাহকদের ডাটা এনালাইসিস করতে পারবেন। গ্রাহক কোন পণ্য বেশি সার্চ করে, গ্রাহক কোন জায়গার, বয়স কত ইত্যাদি আরও অনেক তথ্য জানতে পারবেন।
আমরা অনেকেই চিন্তা করি যে, ওয়েবসাইট তো আমি চালাতেই পারিনা তাহলে বানিয়ে কি করবো? শুরুতেই আপনাদের যে কাজ সেটা কোন এজেন্সিকে দিয়ে অল্প টাকাতে করাতে পারেন কিংবা নিজেই শিখে নিতে পারেন (যাদের থেকে বানাবেন তাদের থেকে)।
মনে রাখবেন- একাই সব করতে গেলে, কিছুই হবেনা।

Newsletter Updates

Enter your email address below and subscribe to our newsletter

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *