ডিডস এটাক !

আপনি ঘুম থেকে উঠলেন আর মোবাইল হাতে নিয়ে ফেসবুক ম্যাসেজ চেক করতে গিয়ে দেখছেন আপনি ফেসবুকে ঢুকতে পারছেন না—কিংবা প্রতিদিনের প্রয়োজনীয় সার্চ করতে গিয়ে গুগল অ্যাক্সেস না হলে কেমন হবে বলতে পারেন? সত্যি এগুলো ভাবতেই গায়ে কাঁটা দিয়ে উঠে। কিন্তু এর চাইতেও ভয়ঙ্কর ব্যাপার হলো একটু আগের ভাবা কল্পনাটি একদম সত্যি হয়ে যেতে পারে, যদি কোন হ্যাকার বা সাইবার ক্রিমিন্যাল ডিডস অ্যাটাক চালায়। এই আক্রমের ফলে যেকোনো ওয়েবসাইট সহজেই অকেজো বা ডাউন হয়ে যেতে পারে এবং হাজারো বা লাখো ব্যবহারকারী তাদের পছন্দের ওয়েবসাইট অ্যাক্সেস থেকে বিরত থাকতে পারে। যেমন কয়েকদিন আগে বিভিন্ন অনলাইন নিউজ বা টিভিতে নিশ্চয় দেখেছেন যে টুইটার (মাইক্রো ব্লগিং সাইট), স্পটিফাই (অনলাইন মিউজিক স্ট্রিমিং সাইট) সহ অনেক ওয়েবসাইটের উপর ডিডস আক্রমণ চালানো হয়েছিলো। আপনি হয়তো বোকার মতো নিউজটি পড়েই গেছেন, কিন্তু কিছু বোঝেননি।

ডিডস (DDoS) কি?

ডিডস শব্দটি আসলে একটি লম্বা লাইনের সংক্ষিপ্ত রুপ, এর সম্পূর্ণ রুপ হচ্ছে ডিসট্রিবুটেড ডিনায়াল অফ সার্ভিস (Distributed Denial of Service)। এক কথায় এটিকে বর্ণিত করতে গেলে, এটি এমন একটি সাইবার অ্যাটাক যার ফলে কোন ওয়েবসাইটকে অ্যাটাক করা হলে সেই সাইটটি যেকোনো ব্যবহারকারীকে অ্যাক্সেস প্রদান করতে বিরত থাকবে—অর্থাৎ ওয়েবসাইটটি কিছুতেই আপনার ব্রাউজারে লোড হবে না

ডিডস অ্যাটাক

সাধারন ডস অ্যাটাক এবং ডিডস অ্যাটাকের মধ্যে পার্থক্য রয়েছে। ডস অ্যাটাকে কোন হ্যাকার তার সিঙ্গেল সিস্টেম ব্যবহার করে কোন ওয়েবসাইটের প্রতি নির্দিষ্ট করে আক্রমণ চালায়, কিন্তু ডিডস অ্যাটাকে হ্যাকার কোন সাইটকে অকেজো করার জন্য বহুত ডিভাইজ থেকে আক্রমণ চালায়। ওয়েবসাইটের কাছে এতোবেশি রিকোয়েস্ট পাঠানো হয় যে, সার্ভার সেই রিকোয়েস্ট গুলোকে নিয়ন্ত্রন করতে পারে না এবং সার্ভার থেকে প্রচুর পরিমানে ব্যান্ডউইথ নষ্ট হয়ে যায়।

কেন ডিডস অ্যাটাক চালানো হয়?

বেশিরভাগ ডিডস অ্যাটাক অবশ্যই টাকা উপার্জন করার জন্য চালানো হয়ে থাকে। টার্গেট করা ওয়েবসাইটের অ্যাডমিন থেকে হ্যাকার অর্থ চেয়ে ব্ল্যাকমেইল করে, যদি হ্যাকারকে অর্থ না প্রদান করা হয় তবে সে অ্যাটাক চালাতে পারে। আবার অনেকে তাদের প্রতিদ্বন্দ্বী সাইটের উপর অ্যাটাক চালায় নিজের সাইট উপরে নিয়ে আসার জন্য। মনেকরুন একটি ই-কমার্স সাইটের অ্যাডমিন তার উপরে থাকা একটি প্রতিদ্বন্দ্বী ই-কমার্স সাইটের উপর ডিডস অ্যাটাক চালালো, এতে প্রতিদ্বন্দ্বী সাইটটি অফ থাকা মানে তার সাইটের বিজনেস বেড়ে যাওয়া।

Newsletter Updates

Enter your email address below and subscribe to our newsletter

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *