জীবনের এই পর্যায়ে এসে আমার কথা শুনে আমাকে পাগল বলতে পারেন,কিন্তু এতেও আমার বলা কথাটা পালটে যাবেনা।
জীবন একটাই,আমরা মুখে হয়তো বলি কিন্তু আসলেই এটা মানিনা যে- একটাই জীবন,আর সেটা নিজের পছন্দ মত চালাতে চাই।
দেখেন,এই জীবনে নিজের মত বাঁচার সুযোগটা ছাড়া আর সবকিছুর সুযোগ আসে বারবার।একবার যদি নিজের মত করে বাঁচা হারিয়ে ফেলেন তবে আর সেটা ফিরে আসেনা।আমাদের মাঝে একটাই ব্যাপার কাজ করে,“লোকে কি বলবে,লোকে কি ভাববে”।
লোকের ভাবনা কিংবা তাদের বলা কথার চিন্তা এত করলে কিভাবে সম্ভব নিজের মত করে বাঁচা?
সম্ভব না।
নিজের মত করে বাঁচতে চাওয়াটা অন্যায় না,আমরা নিজেরা যারা নিজের মত করে বাঁচতে শিখিনি তারা তাদের সন্তানদেরকেও নিজের মত করে বাঁচতে দিইনা।সন্তানকে যেন ডাক্তার,ইঞ্জিনিয়ার কিংবা বি সি এস ক্যাডারই বানাতে হবে কিংবা আমার পছন্দের কিছু।
কিন্তু কেন?
জীবনটা ওর,আমাদের দ্বায়িত্ব ওকে ভালো-মন্দকে চিনিয়ে দেয়া,জীবনের সঠিক জ্ঞান দেয়া।বাকিটা ওকেই সিধান্ত নিতে দিই।
সবাই যদি ডাক্তার,ইঞ্জিনিয়ার, বি সি এস ক্যাডার হয় তাহলে একটা বিজ্ঞানী আসবে কিভাবে?
কিভাবে একটা বিল গেটস হবে?
কিভাবে একজন কৃষিবিদ হবেন ( লেখাপড়া করে নাম দিয়ে নয়)
কিভাবে একটা লেখক বের হবে?
কিভাবে একহন চিত্রশিল্পী বের হবেন?
কিভাবে একজন মিউজিক আর্টিষ্ট বের হবে?
অবশ্যই লেখাপড়াটা যেন পুথিগত বিদ্যায় না থাকে,এটাকে জ্ঞান অর্জনের জন্য ব্যয় করতে হবে। সম্পর্কের অর্থ বোঝাটা গুরুত্বপূর্ণ, কেননা আমাদের ভাবনার ভুল হয়।নিজের মত ভেবে চাপিয়ে দেয়া ঠিক না,এইসব শিক্ষাটা অর্জন করতে হবে।।
বিশ্বাস করুন- সংসার,ক্যারিয়ার, বাচ্চা পালন সবকিছু করা যায়,শুধু নিজের মত বাঁচা যাইনা ২য় বার।
তাই বাঁচতে হবে নিজের মত।