পার্সোনাল পোর্টফলিও কি কাজে বানাবেন এবং এর উপকার কি তা জেনে নিই।

পোর্টফোলিও বলতে আমরা কোন ব্যক্তির প্রোফাইলকে বুঝি। যেমন কোন দোকানে ঢুকলে আমরা কাপড়ের ডিসপ্লে দেখলে বুঝতে পারি দোকানে কেমন ধরনের কাপড় আছে বা দোকানটা কতটা উন্নত।ঠিক তেমনি পোর্টফোলিওতে ডুকলে বুঝতে পারে মানুষটা কতটা কাজ জানে।
পোর্টফোলিও এর মাধ্যমে আপনার জ্ঞান, দক্ষতা, গুণাবলি ও কাজের উদাহরণ, যা কোন একটা জায়গায় সুন্দর করে সাজিয়ে রাখা হয়। যাতে আপনি কি কাজ পারেন তা উদাহরণ হিসেবে তুলে ধরা হয়। ফলে কেউ যদি আপনার কর্মজীবন সম্পর্কে জানতে চায় তাকে আপনার পোর্টফোলিও দেখাতে পারেন। বিশেষ করে নতুন চাকরি ক্ষেত্রে পোর্টফোলি বিশেষ ভূমিকা রাখে।
✅ পোর্টফোলিও কেন প্রয়োজন?
পোর্টফোলিও একটি মাধ্যম যা আপনার জ্ঞান, যোগ্যতা, সৃজনশীলতা, প্রফেশনাল দক্ষতা এবং অভিজ্ঞতার একটি বড় প্রমাণ। পোর্টফোলিও সাধারণত একজন সম্ভাব্য নিয়োগদাতা বা কোম্পানির প্রতিনিধির কাছে আপনার কাজের কোয়ালিটি বুঝতে সহায়তা করে।
এর ফলে, কোন কোম্পানি সহজেই আপনাকে তাদের কাজে নিয়োগ দেয়ার জন্য আগ্রহী হতে পারে। পোর্টফোলিও একটি প্রভাবশালী প্রদর্শনী যা আপনার দক্ষতা ও কার্যকলাপের সমৃদ্ধতা দেখাতে সাহায্য করে ও নতুন কাজের সুযোগ সৃষ্টি করে।
✅ পোর্টফলিও তৈরির জন্য কি কি প্রয়োজন?
একজন প্রফেশনাল ফ্রিল্যান্সারের পোর্টফলিত অনেকগুলো বিষয় থাকা খুব জরুরি, তার মাঝে নিম্নলিখিত বিষয়গুলো থাকা আবশ্যক-
★ কাজের স্যাম্পল: আপনার পোর্টফোলিওতে আপনার কাজের স্যাম্পল থাকা আবশ্যক। এটি হলো আপনার কাজের গুনগত মানের প্রমাণ এবং আপনার দক্ষতা দেখানোর প্রধান হাতিয়ার।
★ ক্লায়েন্ট রিভিউস: আপনার পোর্টফলিওতে আপনার পূর্ববর্তী কাজের ক্লায়েন্টের রিভিউ থাকা জরুরি। এটি আপনার ব্যবসা সম্প্রসারণে ব্যাপক ভূমিকা পালন করবে এবং আপনার কাজের বিশ্বাসযোগ্যতা বাড়াতে সাহায্য করবে।
★ শিক্ষাগত যোগ্যতা: পোর্টফোলিওর আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে শিক্ষাগতার যোগ্যতা। এখানে আপনার সম্পূর্ণ শিক্ষাগতার যোগ্যতার সংক্ষিপ্ত বিবরণী থাকা আবশ্যক। তাছাড়া আপনার পোর্টফলিওতে প্রোফেশনাল স্কিল সার্টিফিকেট উল্লেখ করা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *