বিজনেস কার্ড ডিজাইন ও তৈরির প্রথম দিকেই খেয়াল রাখতে হবে এটি কি উদ্দেশ্যে তৈরি করা হচ্ছে।
মূলত, যেকোনো স্বনামধন্য প্রতিষ্ঠান বা ব্যক্তির ক্ষেত্রে নাম, ঠিকানা, মেইল অ্যাড্রেস, কন্ট্যাক্ট নাম্বার, পদবি, প্রতিষ্ঠানের লোগো প্রভৃতি বিষয় বিশেষ গুরুত্ব পাবে
অন্যদিকে নতুন চাকুরি প্রত্যাশী না ফ্রেশারদের ক্ষেত্রে তাদের ব্যক্তিগত দক্ষতা, নাম, ঠিকানা, ফোন নাম্বার প্রভৃতি বিষয় গুরুত্ব পাবে। তাই বিজনেস কার্ড তৈরির প্রথমেই এই বিষয়গুলো মাথায় রাখা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
কার্ডের জন্য প্রথমেই একটি উপযুক্ত লোগো ডিজাইন করে নিতে হবে। এক্ষেত্রে অনেকেই প্রফেশনাল গ্রাফিক ডিজাইনারদের দিয়ে এই কাজটি করিয়ে নেন।
সঠিক ফন্ট নির্বাচনঃ বিজনেস কার্ডে সঠিক ফন্ট নির্বাচন একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। কারণ একটি ভালো ফন্ট ক্লায়েন্ট বা গ্রাহকদের কাছে ভালো ইম্প্রেশন পাওয়ার জন্য গুরুদায়িত্ব পালন করে।
তবে একেক ধরণের প্রফেশনের জন্য একেক ধরণের ফন্ট নির্বাচন করা জরুরি। ডিজাইনারদের কাছে ভিনাইল, ব্র্যান্ডন গ্রোটেস্ক, ফোকো, প্রক্সিমা নোভা, রেলয়ে, স্যালসবারি, রেশিও প্রভৃতি ফন্ট বেশ জনপ্রিয়।

নাম ও পদবি (Name & Designation) স্পষ্ট থাকতে হবে।

কোম্পানির নাম ও লোগো পরিষ্কারভাবে দেখা যেতে হবে।

যোগাযোগের তথ্য: মোবাইল, ইমেইল, ওয়েবসাইট, সোশ্যাল মিডিয়া হ্যান্ডেল।

ঠিকানা যদি প্রাসঙ্গিক হয় (শুধু প্রয়োজনীয় হলে) দিন।

অপ্রয়োজনীয় তথ্য গাদাগাদি করে দেবেন না।

সিম্পল ও ক্লিন লুক – অতিরিক্ত রঙ, ফন্ট, বা গ্রাফিক্স এড়িয়ে চলুন।

কালার স্কিম ব্র্যান্ড কালারের সাথে মিলিয়ে রাখুন।

ফন্ট – সহজপাঠ্য ও প্রফেশনাল (২টির বেশি ফন্ট ব্যবহার না করাই ভালো)।

লোগো যেন স্পষ্টভাবে চোখে পড়ে।

সাধারণত ৩.৫” × ২” সাইজ স্ট্যান্ডার্ড।

সেফ মার্জিন মেনে চলা উচিত (কাটিং এর সময় যেন টেক্সট বা ডিজাইন কেটে না যায়)।

হাই-রেজোলিউশন (300 dpi) ফাইল বানান।
৪. ব্র্যান্ডিং ও ইউনিকনেস

ডিজাইনে যেন আপনার ব্যবসার ধরন ও ব্র্যান্ড আইডেন্টিটি বোঝা যায়।
(যেমন – ক্রিয়েটিভ কোম্পানি হলে একটু আর্টিস্টিক টাচ, কর্পোরেট হলে মিনিমাল ও ক্লিন)।

QR Code যোগ করলে ডিজিটাল সংযোগ সহজ হবে।
বিশেষ ফিনিশিং: ম্যাট/গ্লসি লেমিনেশন, স্পট ইউভি, এমবসিং – এগুলো কার্ডকে প্রিমিয়াম ফিল দেয়।

হাতে নিলেই যেন কার্ডটা পড়তে সহজ হয়।

তথ্যগুলো যেন এক নজরে ধরা যায় – কনফিউজিং লেআউট নয়।

উল্টো পিঠ (back side) ফাঁকা না রেখে কাজে লাগান (লোগো, ট্যাগলাইন, QR কোড ইত্যাদি)।

সহজ ভাষায়, একটি বিজনেস কার্ড সিম্পল + প্রফেশনাল + ব্র্যান্ডেড + ইজি-টু-রিড হওয়া উচিত।