বিশ্বাস পুঁজি করেই ঠকানো হচ্ছে আপনাকে

লোগো আপনার কোম্পানির ব্রান্ডিং করে, তাই এই লোগো তৈরি করা যতটা গুরুত্এব বহন ঠিক ততটাই গুরুত্ইব বহন করে আমরা লোগোর কোন ফাইল কি কাজে ব্যাবহার করবো এবং কোন ফাইল শেয়ার করবো সেটা জানা। কেননা এই ফাইলের গুরুত্ব অনেক-
Everything is not for sharing
ইদানিং আমাকে প্রতিদিনই অন্তত ৫ জন উদ্যোক্তা আপু লোগোর মেইন ফাইল দেয়া নিয়ে ম্যাসেজ করছেন,যদিও আমি কাজের শেষেই সব ফাইল দিয়ে দিয়েছি তবুও চাইছেন।কেউ মেইন ফাইল বারবার চাইলে আমি অবাকই হই এবং সেটা হবারই কথা,কেননা এই ফাইল তো খুব সিকিউরেটেড ভাবেই সংরক্ষণ করা উচিত।
একটা লোগো বানানোর পরে আমরা যে সকল ফাইল বুঝে নিব এবং কোন ফাইলে কি কাজ করে সেটা জানাচ্ছি-
JPG ফাইলঃ JPEG – Joint Photographic Experts Group (JPEG/JPG) এটি হলো JPG/JPEG এর পূর্নরুপ।
একজন ডিজাইনার আপনাকে লোগো এই ফাইল আকারে দিতে পারে। এই ফাইল ইমেজ আকারে ব্যবহার করা হয়। সাধারণত ওয়েবে এই ফাইল ফরমেট ব্যবহার করা হয়। এটি মূল লোগোর জন্য অনুপযোগী ফাইল ফরমেট কিন্তু শুধুমাত্র প্রেজেন্টেশনের জন্যই এটার ব্যাবহার।
ডিজিটাল ইমেজের সবচেয়ে পরিচিত এবং বহুল ব্যবহৃত ইমেজ ফরমেট হলো JPEG বা JPG ফরমেট যা উচ্চারিত হয় জে-পেগ নামে। ১৯৮৬ সালে এই ফরমেটটি তৈরী হওয়ার পর থেকেই ফটোগ্রাফি এবং ওয়েব এর জন্য সর্বাধিক পরিমাণে ব্যবহৃত হয়ে আসছে।
আমাদের মোবাইলের ক্যামেরা কিংবা ডি এস এল আর এর ইমেজের ফাইল ফরম্যাট এটাই থাকে ম্যাক্সিমাম সময়ে।
PNG ফাইলঃ PNG – Portable Network Graphics
এটাকে অনেকেই Transparent ফাইল বলেও চেনে। ১৯৯০ সালের মাঝামাঝি সময়ে GIF এবং JPEG এর সুবিধাগুলো সমন্বয় করে PNG ফাইল ফরমেট তৈরী করা হয় যাকে পিং কিংবা পিএনজি হিসাবে উচ্চারণ করা হয়।
ফরমেটটি ট্রানপারেন্সি এবং ফাইলের কালার কম্বিনেশন এর কারনে ব্যবহারকারীদের কাছে শক্ত অবস্থান তৈরী করে ফেলেছে।
ব্যাকগ্রাউন্ড ছাড়া ইমেজ প্রয়োজন হলে এই ফাইল ফরমেট ব্যবহার করা হয়। এটি লোগোর জন্য উপযোগী। আপনাকে ডিজাইনারকে বলতে হবে যে আমি ব্যাকগ্রাউন্ড ছাড়া লোগো এই ফরমেট এ চাই। এই ফরমেটের লোগো আপনি যেকোন সফটওয়ার বা এপ দিয়ে আপনার পণ্যের ছবিতে বসাতে পারবেন।
তবে এই ফাইল ফরমেটের একটি অসুবিধা হল, প্রিন্টের কাজে এই ফাইল ফরমেট ব্যবহার করা যায় না। আর এই ফাইল বেশি বড় করা যায় না।
EPS ফাইলঃ Encapsulated Postscript
এটা লোগোর জন্য উপযোগী একটি ফাইল ফরমেট। এই ফাইলের লোগো প্রিন্টের কাজে ব্যবহার করা যায়। ফন্ট ভেঙ্গে যায় না। কারো কাছ থেকে লোগো করিয়ে নিলে, তার কাছ থেকে এই ফাইল ফরমেটে লোগোটা চেয়ে নিতে হবে।
AI ফাইলঃ Adobe Illustrator
এই ফাইল ফরম্যাট হলো লোগোর উপযোগী মূল ফাইল ফরমেট। একজন ডিজাইনার এই ফাইল ফরম্যাটে লোগো সেভ করে। এই ফাইল প্রিন্টের জন্য উপযোগী।
আপনার ক্লাছে মেইন ফাইল মানে Ai File থাকলেই আপনি যেকোন ধরনের কাষ্টমাইজেশন করতে পারবেন।এমন কি আপনার লোগোর এমন ফরম্যাট নিয়ে অন্যকে একটু পশোহণ দিয়ে অন্য একটা লোগোও বানিয়ে দেয়া সম্ভব।
লোগোর যেকোন কাজে কাউকে দিবেন PNG File, Ai is not for sharing to anyone.

বিশ্বাস করা ভালো কিন্তু অন্ধ বিশ্বাস করা ভালোনা

মোঃ সৌভিকুর রহমান
শিক্ষক (কম্পিউটার বিভাগ)
যশোর পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট
আমার কাজ- লোগো ডিজাইন,ব্যানার ডিজাইন,বিজনেস কার্ড ডিজাইন,ফেসবুক পেজ ডেকোরেশন,ই-কমার্স ওয়েবসাইট ডিজাইন,পেজ প্রমোট ও বুষ্টিং,কন্টেন্ট রাইটিং,ভিডিও এডিটিং ও সফটওয়্যার ডেভলপমেন্ট নিয়ে।
আমার পেজ- ICT CARE

Newsletter Updates

Enter your email address below and subscribe to our newsletter

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *