বড় লেখা,সবার জন্য না এজন্য স্কিপ করতে পারেন।

আমি উদ্যোক্তাদের নিয়ে কাজ করি তাই আমার লেখাগুলিও উদ্যোক্তাকেন্দ্রিক।আমার মুল কাজই হলো- আমার জ্ঞান আছে এমন বিষয়ে বিস্তারিত লিখে সবাইকে জানানো।যত বেশি মানুষ জানবে,যত বেশি মানুষ প্রতারণার হাত থেকে রেহাই পাবে।
আমার লেখার সময় এটাই মাথায় থাকে যে,একজন মানুষ ও যদি আমার লেখা পড়ে,তাহলে সেই ব্যাক্তিটিই যেন উপকৃত হয় আমার দ্বারা।
আমি সব সময় বলি- বিভিন্ন গ্রুপ গুলিতে লেখালিখি করলে আপনার পার্সোনাল ব্রান্ডিং তৈরি হয় তবে সেখানে লেখাগুলি হতে হয়- উন্নয়নমুলক এবং তথ্য নির্ভর।শর্টকাটে,কপি করে বা চুরি বিদ্যা দিয়ে আসলে পার্সোনাল ব্রান্ডিং হয়না।হয়তো আপনি ১/২ টা উদাহরণ দিতেই পারেন কিন্তু সেটা আসলে উদাহরণ হিসাবে কাউন্ট হবেনা।
আপনি একজন অনলাইন উদ্যোক্তা।আপনার কাজ হলো নিজেকে ও নিজের পন্যকে ব্রান্ডিং করা।যারা পন্যের ব্রান্ডিং নিয়ে কাজ করেন,তাদের এসব গ্রুপ বা গ্রুপ এডমিন লাগেনা।কারন,তারা পেইড মার্কেটিং ঠিকঠাক করতে পারলে এমনিই তাদের পন্যের ব্রান্ডিং হয়ে যাবে।
অন্যদিকে,যিনি পেইড মার্কেটিং করার মত অবস্থায় নেই তিনি মুলত বিভিন্ন গ্রুপে লিখবেন এবং নিজের একটা ব্রান্ডিং করার চেষ্টা করবেন।সেই ব্রান্ডিং এর জ্বোরেই আপনার প্রোডাক্টের সেল আসবে।
এখানে মুলত দুই জায়গায় দুই রকম ইনভেস্টমেন্ট লাগে।তবে,আমাদের অনেকেই আসলে এই কনসেপ্ট টা ঠিকঠাক বুঝিনা।আর বুঝিনা বলেই বাঁধে বিপত্তি।
আমার লেখা যারা পড়েন,তারা জানেন যে- আমি সব সময় মুল সিনারিও টা তুলে ধরার চেষ্টা করি।এটা পড়ে বা বুঝে যদি আপনার মনেহয় আপনি এটা করবেন,তাহলে করবেন।আবার যদি মনে হয় যে,এটা করা ঠিক হবেনা,তাহলে করবেন না।এখানে কাউকে জ্বোর করার ব্যাপার নেই।
পার্সোনাল ব্রান্ডিং এ লেখালিখির পাশাপাশি বিভিন্ন ধরনের ইভেন্টগুলি এটেন্ড করলে একটু শক্ত হয় অবস্থান কিন্তু সেই উপস্থিতির জন্য যে ব্যয় আপনি করছেন বা করবেন বলে ভাবছেন- আগে আপনাকে ক্যলকুলেট করতে হবে যে,আপনি ঐ পরিমাণ লাভবান হচ্ছেন কিনা।
আমার ক্লায়েন্টগুলি মুলত বিভিন্ন উদ্যোক্তা গ্রুপের।তারা যেহেতু উদ্যোক্তা,তাই বিভিন্ন গ্রুপে থাকবেন এটা স্বাভাবিক। অনেকেই আমাকে মেন্টর মানেন,শিক্ষক বলে মানেন সেইজন্য আমি,আপনাদের নিকট কৃতজ্ঞ।আপনারা বিভিন্ন জায়গার বিভিন্ন অনুষ্ঠানে আমাকে ডাকেন,খোঁজ নেন সেইজন্যই আমার কৃতজ্ঞতা অশেষ কিন্তু আমি আসলে সব জায়গায় যেতে পারিনা আমার সময়ের অভাবে।
আমাদের একটা গ্রুপ আছে (ব্যাচমেট বন্ধুদের) ০৭/০৯।আমি গত ৫ বছরে অন্তত ২০০+ ইভেন্টের মধ্যে মাত্র ৩ দিন,তিনটা ইভেন্টে গিয়েছি।তাইবলে আমার বন্ধুদের সাথে বন্ধুত্ব নষ্ট হয়ে যাবেনা।কারন,প্রকৃত বন্ধুত্ব নষ্ট হয়না।
এখন যেহেতু ঢাকাতেই থাকি,তাই অনেক ইভেন্টে দাওয়াত আসে।মেলা,মিট আপ,সামিট সহ অনেক জায়গায়।আমি সকল আয়োজক দের সম্মান করি এবং তাদের আয়োজনকে সাধুবাদ জানাতে চাই।কেননা,এই সকল আয়োজন করা সত্যিই কষ্টসাধ্য ব্যাপার।
একজন উদ্যোক্তা হিসাবে, এইসকল ইভেন্টে আপনি যাবেন কি যাবেন না সেটা একান্তই আপনার ব্যাপার।আমি আগেও বলেছি,কোথাও গেলে আপনার লাভ-লোকসান টা ক্যলকুলেশন করে নিবেন।
আয়োজক,আয়োজন করে তার লাভে আর আপনি যাবেন আপনার লাভে।দুইপক্ষই যদি Win-Win situation এ থাকেন,তাহলে আপনি যাবেন।আর আপনার লস হলে আপনি যাবেন না,সিম্পল।
আমি কেন যাইনা?
আমার আসলে একদিন অফিস ছেড়ে যাওয়াটা টাফ।আর তাছাড়া আমি এমনিই একটু প্রচারবিমুখ মানুষ।একটা সময়ে সবাই ছবি উঠতো আর পোস্ট করতো,স্বভাবতই আমাকেও করতে হতো।
এক পর্যায়ে আমার বন্ধু-বান্ধব তো কত রকম বলা শুরু করলো।পরে এখন দেখবেন আমি আমার সকল কাজের ৫% ও পোস্ট করিনা।আসলে সময় পাইনা আর সবকিছু ফেসবুকে ওপেন করার মানেও নেই।কাজের বাইরে কিছুই ফোকাস করতে ভালো লাগেনা।
অথচ,বাংলাদেশের যেকোন জায়গায় উদ্যোক্তাদের নিয়ে আয়োজিত ইভেন্টে আমি গেলে আমার লস নেই কারন,আমাকে মোটামুটি এদেশের বহু উদ্যোক্তা চেনে।আর কাজ ও করে আমার সাথেই।আমি গেলে বোর ফিল ও করবোনা জানি।তারপরেও আমি যেতে পারিনা বলে আমি নিজেই দু:খিত।
আপনারা অনেকেই আমাকে ভালোবাসেন আমাকে জিজ্ঞাসা করেন যে কি করবেন- তাদের জন্যই লেখাটা।আপনার যদি ভালো মনেহয় তাহলে যাবেন।আর আমিও সময় পেলে যাবো ইনশাআল্লাহ কিন্তু কথা দিতে পারবোনা কিংবা আপনাদের কাউকে নিষেধ কোথাও করবোনা।

Newsletter Updates

Enter your email address below and subscribe to our newsletter

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *