মুখে “না” বলেও বলা হয়ে যাবে “না” – শেষ পর্ব 

ব্যাপারটিকে সরল রাখুনঃ কখনও অতিমাত্রায় ব্যাখ্যা করা বা ক্ষমা চাইবেন না।
আপনার এবং আপনার ব্যবসার জন্য যা সঠিক তার জন্য আপনার ক্ষমা চাওয়ার কিছু নেই। আপনি যদি বিনয়ের সাথে আপনার প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন এবং সেই সাথে সহজভাবে আপনার অপরাগতা ব্যাখ্যা করেন তাহলে অনেকেই আপনাকে সম্মানের চোখেই কিন্তু দেখবে। নিজেকের অন্যের অবস্থানে চিন্তা করুন এবং সেই ব্যক্তির ব্যক্তিত্ব অনুযায়ী কোন কথাগুলো বলা কার্যকর হবে তা ভেবে দেখুন। যদি তারা সরাসরি কথা বলা পছন্দ করে থাকে, তাহলে সংক্ষেপে সরাসরিভাবে আপনার মত প্রকাশ করুন; যদি তারা কিছুটা আবেগপ্রবণ হয়ে থাকে, তাহলে একতু নরম হয়ে তাদেরকে আপনার মত জানিয়ে দিন।
মনে রাখবেন লম্বা ব্যাখ্যা ও অতিমাত্রায় ক্ষমা চাওয়া কোন কোন ক্ষেত্রে ভাল নাও হতে পারে, এর ফলে অন্য পক্ষ আপনার উপর আরো চাপ সৃষ্টি করতে পারে এবং আপনার সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা করার জন্য আপনাকে বাধ্য করতে পারে। পরিস্থিতি জটিল করে তুলবেন না; বিনয়ের সাথে না বলে দিন সাথে ছোট্ট ব্যাখ্যা (এক বাক্যে) জুড়ে দিন অথবা কোন সৃজনশীল সমাধান বাতলে দিন।
আপনার ভাল লাগার জন্য, আপনি কী কী অগ্রগতি করলেন তা একটি তালিকা আকারে লিপিবদ্ধ করুন। কাজের সময় যখন আপনার বন্ধুরা (বা আপনার মা) ফোন করে এবং আপনি তাদের ফোন না ধরে কতটুকু সময় বাঁচিয়েছেন তা লিখে রাখুন এবং পরবর্তীতে এমন এক সময় তাদেরকে ফোন দিন যখন উভয়ের মধ্য আলাপ করাটা সহজতর হবে। হুটহাট করে হ্যাঁ বলা থেকে বিরত থাকুন, এবং এক কিনবা দুই সপ্তাহ ধরে আপনি কতটুকু সময় বাঁচিয়েছেন তা খেয়াল রাখুন। অতি শীঘ্রই আপনি সাবলীলভাবে না বলার শক্তিকে কাজে লাগাতে সক্ষম হবেন!
অনেকের ফোন কেন ধরিনা,তার ব্যাখ্যা দিয়ে দিলাম একটু।

Newsletter Updates

Enter your email address below and subscribe to our newsletter

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *