রিয়াক্ট করাটা গুরুত্বপূর্ণ নয়, রেসপন্ড করাটা জরুরী

 

ধরুন,কেউ আপনাকে বললো আপনি গাধা,আপনি কি গাধা হয়ে যাবেন?
উত্তর দিবেন যে নাহ,কিন্তু বাস্তবে সেটা নিয়েই তো আপনার ভাবনার শুরু।বাস্তবে কেউ গাধা বললেই আপনার রাগ হয়ে যায়,মন খারাপ হয়।এবং নিজেকে নিয়ে আপনি ভাবতে শুরু করে দেন।

এটাই তো বন্ধ করতে হবে।যদি আপনার একান্তই ভাবতে হয় তাহলে আপনি ভাবুন,তবে সেটি যেন ১০ সেকেন্ডের বেশি না হয়।এই সময়ে আপনি নিজেকে প্রশ্ন করুন- আমার কি কান লম্বা?
আমার কি লেজ আছে?

উত্তর আসবে যে,নাহ নেই।তাহলেই তো প্রমাণিত যে আপনি গাধা নন।তাই এখানে রিয়াক্ট করাটা জরুরী না বরং কাজ করুন এবং নিজেকে এগিয়ে নিয়ে যান,দেখবেন- যার বক্তব্য,তার ভিতরেই চলে গেছে।

আবার কেউ আপনাকে বললো- আপনি কিপটা,আর আপনি কিপটা হয়ে গেলেন?

নাহ,এটাও একেবারেই না।আপনার পকেটের খবর আপনিই জানেন এবং আপনার এই পকেটের টাকাতে কার কার হক আছে সেটা একান্তই আপনার জানার কথা।

কেউ একজন ১০০০০/- টাকা ইনকাম করে এবং কোন দ্বায়িত্ব পালন করতে হয়না,তাই সে ইচ্ছামত এদিক সেদিক যেয়ে নিজেকে সাধ্যমত টিপটপ রাখতেই পারে, কিন্তু আপনি তো ২০০০০/- ইনকাম করেও আপনাকে ঐ টাকা দিয়ে- আরও ৫ টা মানুষকে দেখতে হয়,তাহলে আপনি তো আপনাকে টিপটপ রাখতে পারছেন না।

লোকের চোখের দেখা কিংবা মুখের বলা কথাতে রিয়াক্ট করাটা খুব জরুরী নয়,কিন্তু ঠিকঠাক রেসপন্ড করাটা জরুরী।

এই রেসপন্ড করাটা ঠিকঠাক হলেই দেখবেন- ঐ বলা মুখগুলি কেমন কালো হয়ে যায়,তাদের মাথাটা কেমন নত হয়ে যায়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *