৪০ বছর বয়সে এই বিষয়গুলো বোঝার জন্য

১। কেউ ৯-৫টা চাকরী করে আপনার থেকে ১০ গুন কামাচ্ছে, কারন তাদের কাজে তারা চুড়ান্ত দক্ষ এবং অধিনস্তদের ভালভাবে কন্ট্রোল করতে পারে!
২। এলোমেলো কাজ বা বিক্ষিপ্ততা আপনার সাফল্যের জন্য বড় বাঁধা, কারন এটি আপনার মস্তিষ্ককে বাধা দেয় এবং ক্ষতি করে।
৩। আপনি যা হতে চান, সে তার ধারে কাছেও না, ভুলেও এমন কোন লোকের কাছ থেকে পরামর্শ নেবেন না।
৪। আপনার জীবনের পুরা দায়িত্ব আপনার উপর, কেউ আপনার সমস্যা সমাধান করতে আসবে না।
৫। ১০০টা মোটিভেশনাল বই পড়ার আপনার দরকার নেই। যা দরকার সেটা হচ্ছে, নিজের কাজে ডিসিপ্লিন আনা আর সাথে সাথে কাজ শুরু করে দেয়া।
৬। কলেজে যেয়ে নিদৃষ্ট স্কিল শিখে (যেমনঃ ডাক্তারি, ইঞ্জিনিয়ারিং, ওকালতি) যা ইনকাম করবেন, এর থেকে কিভাবে বেচাবিক্রি করবেন এটা শিখে পরবর্তী ৯০ দিনে, এর থেকে অনেক বেশি ইনকাম করতে পারবেন।
৭। আপনাকে নিয়ে কেউ চিন্তা করছে না, পাছে লোকে কিছু বলে ভেবে লজ্জা পাওয়ার দরকার নেই, কাজে বেরিয়ে পড়ুন এবং আপনার সুযোগ তৈরি করুন।
৮। আপনার থেকে স্মার্ট কাউকে পেলে তার সাথে কাজ করুন, অনেক কিছু শিখতে পারবেন। দয়া করে তার সাথে প্রতিযোগিতা করার মত বোকামি করবেন না।
৯। ধূমপান করার অভ্যাস থাকলে ছেড়ে দিন। কারন এতে কোন লাভ নেই বরং এটা আপনার মনোযোগ কমিয়ে দেয় আর চিন্তাভাবনা করার ক্ষমতাকে ধীর করে দেয়।
১০। মদের অভ্যাস থাকলে যে কোন মুল্যে ছেড়ে দিন, কারন মাতাল হয়ে নিজের চেতনা হারানো, আর ছাগলের মত আচরণের মত খারাপ কিছু আর হতে পারে না।
১১। আরামপ্রিয়তা সব থেকে খারাপ আসক্তি এবং ডিপ্রেশনে পড়ার সব থেকে সহজ রাস্তা।
১২। নিজের প্রাইভেসিকে গুরুত্ব দিন, যতটুকু না বললেই না, এর বেশি নিজের ব্যাপারে কাউকে বলবেন না।
১৩। যে পরিবার থেকে এসেছেন, তাকে গুরুত্ব দেয়ার থেকে, যে পরিবার আপনি তৈরি করেছেন তাকে বেশি গুরুত্ব দিন।
১৪। স্বস্তা স্রোতে গা ভাসিয়ে নিজের সম্মান নষ্ট করবেন না। নিজের অবস্থান উচ্চস্থানে রাখুন।
১৫। এমন ভাবে নিজেকে তৈরি করুনে যেন, যে কোন বিষয়কেই ব্যাক্তিগত বিষয় হিসাবে না নেন, আপনি ৯৯.৯৯% মানসিক সমস্যা থেকে মুক্ত থাকবেন।
ধন্যবাদ!
লেখা Golam Kamruzzaman ভাই।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *