বিক্রয় বৃদ্ধির কিছু কৌশল যা আমাদের জানা দরকার (শেষ পর্ব)

এটিটিউড পরিবর্তন করুনঃ
আমাদের দেশের চাকুরী বা ব্যবসায়ের ক্ষেত্রে সবচেয়ে বড় সমস্যা হল এটিটিউট। এই সমস্যা দূর করতে না পারলে বিক্রয় বৃদ্ধি করা যাবে না।
যেমনঃ নেতিবাচক মনোভাব, কনফিডেন্সের অভাব, আগ্রহের অভাব,
কাস্টমারের রিয়েকশনকে ইতিবাচকভাবে না নেওয়া, বিক্রিত পণ্য ফেরত না নেওয়া,
কাস্টমারের প্রতি অল্পতেই বিরক্ত হওয়া, কাস্টমারকে সম্মান না দেয়া, অনলাইন এ চ্যাটিং হচ্ছে তাই নিজেই ভাব নিয়ে কথা বলা ইত্যাদি।
এই ধরণের মনোভাব কাস্টমার থেকে আপনাকে দূরে রাখবে,
আপনি কাস্টমারের সাথে সুসম্পর্ক বজায় রাখতে পারবেন না। নিজেকে এই ধরণের সমস্যা থেকে মুক্ত করুন এবং ব্যবসায়ের বিক্রয় বৃদ্ধি করুন।
কাস্টমারকে শেয়ারিং হতে সাহায্য করুনঃ
আপনি যদি ভালো সার্ভিস বা পণ্য সরবরাহ করেন তাহলে কাস্টমার তা অন্যের কাছে শেয়ার করতে পছন্দ করে।
তবে শুধু তাদের আশায় বসে থাকলে হবে না। মাঝে মাঝে তাদের অনুপ্রানিত করতে হবে,
তাদের বলতে হবে, তারা যেন আপনার পণ্য বা সার্ভিস অন্যদের কাছে শেয়ার করে।
তাহলে তা আপনার বিক্রয় বৃদ্ধি করতে গুরুত্বপূর্ন অবদান রাখবে।
কিন্তু এই বলা এর ব্যাপারটাও বুদ্ধিমত্তার সাথে করতে হবে, আপনি তাকে অনুরোধ করতে পারেন,
যদি আপনার পণ্য তার ভালো লেগে থাকে তাহলে তিনি যেন তার কাছের মানুষদের সাথে শেয়ার করে এবং সম্ভব হলে তার ফেসবুক অ্যাকাউন্ট এ শেয়ার করেন।
পন্য নয় সেবা দিনঃ
একজন কাস্টমার বা গ্রাহক শুধু পণ্য বা সার্ভিস ক্রয় বা বিক্রয় করলেই কাজ শেষ হয়ে যায় না।
কাস্টমারকে কিভাবে ধরে রাখতে হবে সেটাই বেশি গুরুত্বপূর্ন। সেজন্য সর্বদা কাস্টমারের সাথে সুসম্পর্ক তৈরির দিকে বেশি গুরুত্বদিন। কাস্টমারের সাথে সুসম্পর্ক তৈরি করা গেলে তারা বার বার ফিরে আসে এবং পণ্য ক্রয় করে।
এর জন্য নতুন কাস্টমার তৈরির মত মার্কেটিং করতে হয় না। সুসম্পর্ক তৈরি করতে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন অফার,
পূর্বের গ্রাহকদের জন্য বিশেষ সুবিধা ইত্যাদি দিতে পারেন। এ জন্য আপনি কাস্টমার রিলেশন ম্যানেজমেন্ট এর কিছু দিক অবলম্বন করতে পারেন, যেমন তাদের ফোন বা ইমেইল এ শুভদিন গুলোর বার্তা পাঠানো।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *