HTTPS

➤HTTP কি ?

☞HTTP হল একটি প্রটোকল এবং এর পুর্ণ রুপ হচ্ছে HyperText Transfer Protocol. HyperText Transfer করবার জন্য যে প্রটোকল তা-ই HTTP.

➤এবার প্রশ্ন আসে HyperText কি ?

☞Hypertext বলতে আসলে ওয়েবের টেক্সট , লিংক এবং পাশাপাশি ওয়েব বেজড কন্টেন্ট যেমন ছবি , অডিও , ভিডিও ইত্যাদি কে বােঝায় । এটি প্রতিটি ওয়েবসাইটের Domain Name এর শুরুতে বসে (http ://).
কখনও কখনও https ও বসে এবং সেটি নিয়ে পরে আলােচনা করছি ।

•আপনার কোন বাউজারের এড্রেস বার থেকে লিংক কপি করে দেখবেন , ডােমেইন নেম এর শুরুতে আছে http বা https এবং এটি বলে দেয় ওয়েব বেজড কন্টেন্ট গুলাে কোন পাের্ট ব্যবহার করে এবং প্রটোকল ব্যবহার করে আদান প্রদান করা হবে।

HTTPS কি ?

☞HTTPS এর পূর্ণরুপ হচ্ছে HyperText Transfer Protocol Secure. HTTP এর সাথে এর মুল পার্থক্য হল কোন সাইটে https ব্যবহার করা হলে ডাটাগুলাে এনক্রিপটেড ( Encrypted ) হয়ে পারাপার হয় , ফলে ডাটাগুলাে নিরাপদ থাকে । আর তাই আজকাল অনেক ওয়েব সাইট ই https প্রটোকল ব্যবহার করে থাকে। বিশেষ করে যে সমস্ত ওয়েব সাইট-এ পেমেন্ট সিস্টেম আছে কিংবা বিভিন্ন ব্যাংক গুলাে। পাশাপাশি ইমেইল সার্ভিস প্রভাইডার কিংবা সােস্যাল মিডিয়া ওয়েব সাইট গুলােও HTTPS Protocol ব্যবহার করে।

•যেসব ওয়েবসাইট HTTPS Protocol ব্যবহার করে , এড্রেস বারে তাদের এড্রেসএর আগে দেখবেন সবুজ রং এ তাদের পুরাে নাম দেয়া থাকে এবং এর উপর মাউস নিয়ে গেলে দেখায় কার কাছ থেকে এই সাইট টি ভেরিফাইট করা হয়েছে এবং সামনে একটি সবুজ তালা ও থাকে।

➤HTTP ও HTTPS এর মধ্যে পার্থক্য কি ?

☞HTTP ও HTTPS এর মধ্যে পার্থক্য নতুন করে বলার কিছু নেই । উপরের অংশ দুটো পড়ে আশা করি বুঝতে পেরেছেন যে HTTP প্রতিটা ওয়েব এড্রেসের সামনে লাগেই তবে ওয়েবের তথ্য আদান প্রদান কে আরাে সিকিউর করতে অনেক ওয়েব সাইট HTTPS ব্যবহার করে ।

✪হ্যাকারদের আসল টার্গেট কোনটা এবং কোনটা হ্যাক হওয়ার সম্ভাবনা কত।
•সহজ ভাষাতে বোঝানোর চেষ্টা করবো।

•তবে চলুন শুরু করা যাক।

➤HTTP প্রোটোকল এর ভিতর দিয়ে যখন কোনো তথ্য প্রেরণ করা হয় তখন সেটা প্রেরকের কাছ থেকে প্রাপকের কাছে পৌছায় সম্পূর্ণ মেইন কপি হয়ে।
•যেমন ধরেন, আপনি কাউকে পাঠালেন “হ্যালো” তখন এই শব্দটা যাত্রাকালে এর কোনো পরিবর্তন না ঘটিয়ে মেইন লেখাটা হয়েই উক্ত ব্যাক্তির কাছে যায়। ফলে যদি হ্যাকার ম্যান ইন দ্যা মিডল অ্যাটাক বা পথিমধ্যে তথ্যটা এক্সেস করে ফেলে তাহলে সে মেইন তথ্যটা পেয়ে গেল।

➤এবার আসি HTTPS প্রোটোকলে।

HTTPS প্রোটোকল এমন একটা মাধ্যম, যে মাধ্যম ব্যাবহার করে কোনো তথ্য প্রেরণ করলে সেটা প্রেরকের মাধ্যম থেকে বের হওয়া মাত্রই অটোমেটিক এনক্রিপটেড (Encrypted) হয়ে যায় এবং প্রেরকের কাছে পৌছে অটোমেটিক ডিক্রিপটেড (Decrypted) হয়ে যায়। উদাহরণস্বরুপঃ আপনি কাউকে “হ্যালো” লিখে পাঠালেন। এখন এই লেখাটা আপনার মাধ্যম থেকে বের হওয়ার সাথে সাথে এনক্রিপটেড হয়ে (jdsu5ye53hhc) এমন কিছু কোডে পরিনত হয়ে যায় এবং প্রেরকের কাছে পৌছে আবার ডিক্রিপটেড হয়ে “হ্যালো” লেখাতে রুপান্তরিত হয়ে যায়। যার ফলে হ্যাকার যদি পথিমধ্যে তথ্যটা এক্সেস করেও ফেলে তাও সে আসল তথ্যটা পায় না।

➤এবার আসি হ্যাকারদের কোন মাধ্যমটা বেশ পছন্দ সেটার বিষয়ে।

HTTPS এ অনেক ঝামেলা থাকা সত্বেও হ্যাকারদের মেইন টার্গেট থাকে এটাই কারণ এখানে HTTP এর তুলনায় অনেস বেশি পরিমাণে তথ্য আদান প্রদান হয়৷ সেজন্য হ্যাকররা এই মাধ্যমটাকেই বেশি অ্যাটাক করে থাকে এবং এনক্রিপটেড শব্দগুলোকে ডিক্রিপটেড করে তথ্য হাতিয়ে নেয়ার চেষ্টা করে।

✪খুব সহজ ভাষাতে পুরোটা বোঝানোর চেষ্টা করেছি। আশাকরছি বুঝতে পেরেছেন। এতোক্ষণ পড়ার জন্য ধন্যবাদ। A Content By

Newsletter Updates

Enter your email address below and subscribe to our newsletter

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *