WWW বা ওয়ার্ল্ড ওয়াইড ওয়েব কি ?

web

ওয়ার্ল্ড ওয়াইড ওয়েব বা WWW কি ? ওয়ার্ল্ড ওয়াইড ওয়েব একটি তথ্য ভাণ্ডার, যেখানে তথ্য বা নথি পত্র থাকে। আর এগুলো ইন্টারনেট দ্বারা অ্যাক্সেস করা যায়। ওয়ার্ল্ড ওয়াইড ওয়েব ১৯৮৯ সালে টিম বার্নার্স লি দ্বারা আবিষ্কার হয়েছিল। ওয়ার্ল্ড ওয়াইড ওয়েব হল ইন্টারনেট অ্যাক্সেস করার প্রাথমিক সরঞ্জাম। ওয়ার্ল্ড ওয়াইড ওয়েবের ওয়েবসাইট গুলোকে হাইপারটেক্সট লিঙ্ক গুলোর সাথে সংযুক্ত করা হয়। হাইপার লিঙ্কগুলো ব্যবহারকারীদের একটি ডোমেইনের অধীনে, একাধিক ওয়েব পেজ ব্যবহারের সুবিধা প্রদান করে।

ওয়ার্ল্ড ওয়াইড ওয়েবের স্তরসমূহ

ওয়ার্ল্ড ওয়াইড ওয়েবের ৩টি স্তর। যথা:

•সারফেস ওয়েবঃ– সারফেস ওয়েব ইন্টারনেটের দৃশ্যমান অংশ। সাধারণ সার্চ ইঞ্জিন (গুগল, বিং, ডাকডাকগো ইত্যাদি) এবং ব্রাউজারের (ক্রোম, ফায়ারফক্স ইত্যাদি) মাধ্যমে আপনি এসব সাইট (ফেসবুক, টুইটার, ইনস্টাগ্রাম, হোয়াটসঅ্যাপ, ইউটিউব, বিভিন্ন ওয়েবসাইট ইত্যাদি) খুঁজে পেতে পারেন।

•ডীপ ওয়েবঃ– ডীপ ওয়েব ইন্টারনেটের অদৃশ্য অংশ। সাধারণ সার্চ ইঞ্জিন বা ব্রাউজার থেকে আপনি ডীপ ওয়েব খুঁজে পাবেন না।

ডার্ক ওয়েবঃ– ডার্ক ওয়েব ইন্টারনেটের আর একটি অদৃশ্য অংশ। ডার্ক ওয়েব ব্যবহারকারীদের এবং ওয়েবসাইট মালিকদের পরিচয় লুকিয়ে রাখার অনুমতি দেয়।

➤সারফেস ওয়েবঃ-
•সারফেস ওয়েব ইন্টারনেটের একমাত্র দৃশ্যমান অংশ। সারফেস ওয়েবের ওয়েবসাইট আপনি সাধারণ সার্চ ইঞ্জিনে খুঁজে পাবেন। আমরা স্বাভাবিক ভাবে যে ইন্টারনেট তথা ওয়েবসাইট ব্যবহার করছি তাই সারফেস ওয়েব। সারফেস ওয়েব ওয়ার্ল্ড ওয়াইড ওয়েবের একটি ছোট অংশ এবং এটি জনসাধারণের জন্য একমাত্র অ্যাক্সেস যোগ্য অংশ।
গুগল, ফেসবুক, ইউটিউব, টুইটার ইত্যাদি ওয়েবসাইট সাধারণ সারফেস ওয়েবের অন্তর্ভুক্ত। সারফেস ওয়েব সাইটগুলো সাধারণত .com, .org, .in, .ae, .club ইত্যাদি ডোমেন ব্যবহার করে। এসব ওয়েবসাইটে অ্যাক্সেস বা প্রবেশ করতে, কোন বিশেষ কনফিগারেশন প্রয়োজন নেই। সারফেস ওয়েব ওয়ার্ল্ড ওয়াইড ওয়েবের মাত্র ৪%।

➤ডীপ ওয়েবঃ-
•ডীপ ওয়েব ওয়ার্ল্ড ওয়াইড ওয়েবের অদৃশ্য অংশ। তাই এটি লুকানো ওয়েব হিসাবেও পরিচিত। ডীপ ওয়েবের সাইট গুগলের মত সাধারণ সার্চ ইঞ্জিনে খুঁজে পাওয়া যায় না। ডীপ ওয়েবটি সারফেস ওয়েবের বিপরীতে, কারণ এটি জনসাধারণের অ্যাক্সেস যোগ্য নয়। ডিপ ওয়েব নিয়ে রয়েছে অনেক অজানা তথ্য যা আপনাকে দারুণ চমকাবে।
ডীপ ওয়েব সাধারণত ব্যাংকিং, ক্লাউড স্টোরেজ, সরকারী তথ্য, ওয়েবমেইল বা অন্যান্য পেমেন্ট পরিষেবাদির জন্য ব্যবহার করে। ডীপ ওয়েব বা লুকানো ওয়েব HTTPS প্রোটোকলের পিছনে লুকানো। ডীপ ওয়েবে প্রবেশ করতে আইপি ঠিকানা বা সরাসরি URL প্রয়োজন, কিছু ক্ষেত্রে পাসওয়ার্ড বা অন্যান্য সিকিউরিটি থাকতে পারে।

➤ডার্ক ওয়েবঃ-
•ডার্ক ওয়েব ওয়ার্ল্ড ওয়াইড ওয়েবের একটি অংশ এবং এটি ওয়েবে অদৃশ্য থাকে। ভিজিটর বা ওয়েবসাইট এডমিনদের ওয়েব অ্যাক্সেসের জন্য আলাদা সফটওয়্যার বা কনফিগারেশনের প্রয়োজন। টর ব্রাউজার ডার্ক ওয়েব অ্যাক্সেস করার জনপ্রিয় সফটওয়্যার। টর ব্রাউজারের মাধ্যমে এসব ওয়েবসাইট অ্যাক্সেস করা যায়। ডার্ক ওয়েব ওয়েবসাইটের ডোমেইন সাধারণত .onion থাকে।
ডার্ক ওয়েবে অবৈধ কার্যকলাপ, জুয়া, ড্রাগ, শিশু পর্নোগ্রাফি, অস্ত্র ইত্যাদি মতো খারাপ কার্যক্রম হয়ে থাকে। বিট কয়েনের মত ক্রিপ্টোকারেন্সি ব্যবহার করে লেনদেনের সংঘটিত হয়। বেশিরভাগ হ্যাকার ডীপ ওয়েব এবং ডার্ক ওয়েব ব্যবহার করে নিজেদের কার্যক্রম পরিচালনা করে। মোট ওয়ার্ল্ড ওয়াইড ওয়েবের ৯৬% ডার্ক ওয়েব ব্যবহার করে।

✪আশা করছি বুঝাতে সক্ষম হয়েছি৷ এ বিষয়ে কোনো প্রশ্ন থাকলে কমেন্ট করুন। আর পরবর্তীতে কোন বিষয়ে পোস্ট চান সেটাও বলতে পারেন। এতোক্ষণ পড়ার জন্য ধন্যবাদ । A Content By

Newsletter Updates

Enter your email address below and subscribe to our newsletter

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *